নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
করোনা মহামারীতে ঘরে বসেই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারীরা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পরপর ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করছে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রকৃত চিত্র। নারীর নিরাপত্তা, সামাজিক অবস্থান এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর সঙ্গে কথা বলেন নারী নেত্রী খুশি কবির।
খুশি কবির বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় সাংসারিক জীবনে অর্থনৈতিক অবদানের বড় অংশীদার নারী। তবে করোনায় কাজ হারিয়েছেন অনেকে। আর্থিক টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত মানসিকভাবেও। মহামারীর এই সময়ে পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেছন না তারা। এতে বেড়েছে পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের হার। একই ভাবে পুরুষরাও বেকার হয়ে পড়েছেন এবং ঘরে থাকার কারণে নারী নির্যাতন চরমভাবে বাড়ছে। সরকার প্রধানের কঠোর অবস্থান সত্বেও ধর্ষণ ঠেকানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে আইন ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ নিয়ে মানুষ অনেক বেশি সোচ্চার কিন্তু ধর্ষণের প্রকৃত বিচার হলো কি না কেউ খবর রাখে না। ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং মেডিকেল প্রতিবেদন যেভাবে দেয়া হয় সেই অনুযায়ী বিচার কাজ চলে। ফলে ধর্ষণ মামলায় থানার দায়িক্তপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তারা কোনো চাপ বা সুবিধার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরি করে। ধর্ষণ মামলা দীর্ঘদিন চলতে থাকে। একটা পর্যায়ে অভিযোগকারী হতাশ হয়ে আগ্রহ হারিয়ে মামলা চালানো থেকে দূরে সরে যায়। এই সুযোগে ধর্ষণকারী পার পেয়ে যায়।
খুশি কবির জানান, মামলা পরিচালনার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আওতায় ধর্ষণের মামলার জন্য আদালা বিভাগ গঠন করে পর্যবেক্ষণ টিম করতে হবে। তারা ধর্ষণ মামলার পরবর্তী অবস্থা জানবে এবং আসামিরা যাতে বিচারের আওতায় আসে সেটা দেখতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা আমাদের আরো বেশি মানবিক হতে হবে, পরিবার থেকেই নারীকে সম্মান করার শিক্ষা দিতে হবে। ধর্ষণ জঘণ্য অপরাধ, এদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা যাবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।