নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাথে অর্থনীতির সম্পৃক্ততার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ (বিআইডিএস) এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
সাপ্লাই চেইনের সমস্যায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে জনিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এখন আলুর দাম অনেক বেশি কিন্তু যখন কৃষকের ক্ষেতে আলু উৎপাদন হবে তখন আলূর দাম কমে যাবে। যখন ধান উৎপাদন হয় তখন ধানের দাম কমে যায়। এতে করে পণ্য সংরক্ষণ কিংবা মধ্যসত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছে কিন্তু দাম পাচ্ছে না কৃষকরা।
শীতের আগের এই সময়টাতে পণ্যের উৎপাদন কম থাকায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপরে বড় ধরনের চাপ পরে। অন্যদিকে বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাউল, পেয়াজ সবজিসহ কৃষি পণ্য উৎপাদন কমে গেছে। বন্যার পর থেকেই দ্রব্যমূল্য বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবছর শীতের আগে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে যায়। তবে এবছর বন্যার কারণে নিত্যপণের দাম অন্য বছরের তুলনা বেশি বাড়বে বলে জানান ড. নাজনীন আহমেদ।
অন্যদিকে যখনই বাজারে কোন পণ্যের দাম বাড়ে তখন মানুষ সেই জিনিস বেশি বেশি কিনতে থাকে। ব্যবসায়ীরা এই সুযোগকে পুঁজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া শুকনা সবজি কম থাকায় এই সময়ে এসে এসব পণ্যের দাম বাড়ে।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্য বিক্রি করতে হবে। চাল, ডাল, পেয়াজ, তেল, পেঁয়াজ আলুসহ শুকনো পণ্য বছরব্যাপি বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে হঠাৎ দাম বাড়ানোর প্রবণতা কমে যাবে।
হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়লে দরিদ্র মানুষের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পরে। এছাড়া দরিদ্র মানুষের ব্যায়ের একটা বড় অংশই চলে যায় নিত্যপণ্য-খাদ্য সামগ্রি কিনতে। এই খাতে অর্থ ব্যয়ের কারণে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় পণ্যের দাম বাড়লে তাদের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। নিত্যপণের দাম যদি উদ্ধগতির দিকে থাকে তাহলে মূল্যস্ফিতি হতে থাকে এতে করে সবচেয়ে বেশি সমস্য হয় দেশের নিম্নআয়ের মানুষের। এজন্য বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাজার ব্যবস্থাপনা, বাজার মনিটরিং ও সরবরাহ চেইন স্বচল রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।