নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০
স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের উপেক্ষা করায় সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক নেতারা। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন চিকিৎসকদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। আর এসব সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে কর্মসূচিও দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। স্বাস্থ্যখাতের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মির্জা মাহমুদ আহমেদ।
বাংলা ইনসাইডার: সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসক ও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। এর কারণ কী?
এম এ আজিজ: প্রথমত আমরা কোনো দ্বন্দ্বে জড়াই নাই। করোনা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চিকিৎসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। জান প্রাণ দিয়ে দিন রাত খেটে তারা রোগির সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অদৃশ্য কারণে যে সমস্ত অধিদফতরে সার্ভিস রুল ও অরগ্রানোগ্রাম অনুযায়ী চিকিৎসক কর্মকর্তা থাকার কথা সেখানে প্রশাসনের লোকজনকে একের পর এক পোষ্টিং দেয়া হচ্ছে।
এই করোনাকালীন সময়ে এবং করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সামনে রেখে যেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরও চিকিৎসকদের সহযোগীতা করার কথা সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া বৈরি মনোভাব ও আগ্রাসনের মতো মনে হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মাঝে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফল স্বরুপ আপনাদের কাছে মনে হচ্ছে চিকিৎসক ও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
চিকিৎসকদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে চিকিৎসকদের দাবিগুলো স্বাচিপ তুলে ধরছে। স্বাচিপের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি চিকিৎসক কর্মকর্তাদের স্থলে প্রশাসন ক্যাডারদের নিয়োগ দেয়া ঠিক না। তাদের প্রত্যাহার করা হোক।
বাংলা ইনসাইডার: সরকারের কাছে আপনাদের দাবিটা কী?
এম এ আজিজ: সরকারের কাছে আমাদের দাবি হলো অধিদফতরের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন ক্যাডারের যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।
তাদেরকে প্রত্যাহার করে যেখানে চিকিৎসক কর্মকর্তা থাকার কথা সে জায়গায় চিকিৎসকদের পোস্টিং দেয়া হোক। এই দাবি ছাড়াও আমাদের দীর্ঘমেয়াদী আরও দাবি আছে।
বর্তমান সরকার আসার পরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দুর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দুর করার ব্যাপারে জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রীও আমাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনে করেন সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দুর করা দরকার। সেই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে যে সমস্ত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য আছে তা দুরীকরণে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
বাংলা ইনসাইডার: আপনাদের দাবির ব্যাপারে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছেন?
এম এ আজিজ: আমরা আমাদের দাবির ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি। স্বাস্থ্য সচিবকে জানিয়েছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।