নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বাংলাদেশের আইন পেশার একজন অভিভাবক ছিলেন। তার চলে যাওয়া আইন অঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি। এই গুণী ব্যক্তির জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।
আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ছিলেন, মূলত বর্ণাঢ্য চরিত্রের গুণী মানুষ। আইনজীবীদের ভুল হলে শুধরে দিতেন। তিনি চাইতেন বাংলাদেশে যারা আইন পেশায় যুক্ত, তারা যেন লেখাপড়া করেন, আইনের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখেন।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই মানুষটি দৃড় প্রতিজ্ঞ ছিলেন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি অনেক পড়াশোনা করতেন। কখনও কোনো আইনজীবী যদি কোনো বিষয় না বুঝতেন তাহলে তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বুঝিয়ে দিতেন।
আমার একটা স্মৃতি আজ খুব মনে পরছে, আমি যখন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করতাম তখন তিনি দাপুটে আইনজীবী হিসেবে কোর্টে প্রাকটিস করতেন। একদিন আমি মামলা করতে গিয়েছি কিন্তু সেই মামলার একটা বিষয়ে রেফারেন্স দিতে পারিনি। তখন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আমাকে তার গাড়িতে নিয়ে গেলেন। তিনি গাড়িতেই আইনের অনেক বই-খাতা রাখতেন। সেখান থেকে একটা খাতা রেব করে আমাকে বললেন, ‘এটা লেখ’ ‘এটা পড়ে আয়’। তার আচরণ ছিল একজন অভিভাবকের মত। তিনি শেখানোর চেষ্টা করতেন।
তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইনজীবীদের অসুস্থতার কথা ভাবতেন, কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। একবার অসুস্থ এক আইনজীবীকে তার কাছে নিয়ে গেলাম, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে বলে দিলেন ওই আইনজীবীকে ভালোভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ব্যক্তি জীবন নিয়ে আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, তিনি অসম্ভব রকমের একজন নিয়মানুবর্তি মানুষ ছিলেন। কোনো মামলা করতে আসলে সেই বিষয়ে আদ্যপান্ত পড়ে সঠিক সময়ে আসতেন। সবকিছুতেই তিনি সুশৃঙ্খল ছিলেন। আইন পেশার বাইরে তিনি একজন সমাজিক ও মানবিক মানুষ ছিলেন। সমাজ ও মানুষের কল্যাণে সমবসময় কাজ করেছেন। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, দরিদ্র মানুষের জন্য নানা রকম উদ্যোগ এবং তার নীরব দান সমাজের জন্য বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে। তার চলে যাওয়াতে আমাদের আইন অঙ্গনে গভীর শূণ্যতার সৃষ্টি হলো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।