নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২০
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই মূহুর্তে এক ধরনের শূন্যতা বিারজ করছে। শুদ্ধি অভিযানের ফলে ফরিদপুরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং শহর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আটক ও অনেকেই পলাতক। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি ফরিদপুরের রাজনীতিতে আসবো। বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপকালে একথা জানান ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান (নিক্সন) চৌধুরী।
সম্প্রতি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক ও নিক্সন চৌধুরীকে নিয়ে রাজনৈতিকে মহলে তোলপাড় চলছে। এই অবস্থা ফরিদপুরের চলমান রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযানে আটক বরকত-রুবেল বাহিনী দ্বারা পুরো ফরিদপুরের মানুষ নির্যাতিত ছিল। আমি অনেক দিন ধরেই তাদের অন্যায়-অপকর্ম নিয়ে সোচ্চার ছিলাম। বিশেষ করে এই সিন্ডিকেটের কারণে ফরিদপুরে রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত কাজের একচেটিয়া টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ছিলো তাদের হাতে ফলে এসব অবকাঠোমোর কাজের মান খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় শুদ্ধি অভিযানে ফরিদপুরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। ফরিদপুর অভিযোনের জন্য সরকারকে আমি সাধুবাদ জানিয়েছি।
আপনার শক্তির উৎস কি জানতে চাইলে এই সংসদ সদস্য বলেন, আমার শক্তির মূল উৎস্য আমার জনগণ, আমার নীতি এবং সৎসাহস। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কখনও ভয় পাই না। আমি ন্যায়ের পথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি। আমি মানুষকে ভালবাসিব, মানুষ আমাকে ভালোবাসে। যে কোরণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচীত হলাম। আমি মনে করি মানুষকে ভালবাসলে, সেবা করলে মানুষ তাকে মনে রাখে। তার প্রমান আমি নিজেই।আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে এসে কাজী জাফরউল্লাহকে দুইবার নির্বাচনে হারাতে পেরেছি শুধুমাত্র মানুষের ভালোবাসার কারণে।
তিনি বলেন, এই মূহুর্তে আমার এলকার রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চর এলাকায় মুজিবকেল্লা তৈরি এবং ত্রাণ ও পূর্নবাসন কাজ চলমান। তবে আমার বিশেষ দৃষ্টি দূর্নীতির দিকে। বিশেষ করে ভূমি অফিসে ১৫ শতাংশ ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না, উপজেলায় টাকা ছাড়া প্রশাসন কাজ করছেন না। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তভাবে প্রতিবাদ করছি, ফরিদপুরকে দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চাই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।