নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২০
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন,‘মৌলবাদিরা সীমা লঙ্ঘন করছে।’ সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে মৌলবাদিদের বিরোধিতা প্রসঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক একথা বলেন।
তিনি বলেন,‘সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ধর্মীয় মাতম করছে, যারা সব সময় বাংলাদেশের ক্ষতিচায়। এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সব সময় প্রগতিশীল বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করেছে। তাদের চিন্তা-চেতনা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই জ্ঞানপাপীরা চোঁখ থাকতেও অন্ধ। তার কারণ হলো তারা জানে না যে, বিশ্বে বহু মুসলিম দেশে এ ধরনের ভাস্কর্য রয়েছে। সেসব মুসলিম দেশে খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ভাস্কর্য স্থাপন এবং সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু তারপরও বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে তারা উগ্রসাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কোন ইস্যু না পেয়ে তারা ভাস্কর্য ইস্যুকে ইস্যু হিসেবে তৈরি করছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রিয় মানুষদেরকে আঘাত করছে। তারা একচেটিয়াভাবে যে কথাগুলো বলে যাচ্ছে, তারা সীমার বাইরে কথাবার্তা বলে যাচ্ছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন,‘সীমা লঙ্ঘনকারিকে আল্লাহ পছন্দ করে না, তেমনি মানুষও পছন্দ করে না। কিন্তু মৌলবাদিরা সীমা লঙ্ঘন করছে। এই গোষ্ঠী চেষ্টা করেছে স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের ক্ষতি করার। এসব ধর্মান্ধ গোষ্ঠীদের অন্যকোন অসৎ-অশুভ উদ্যেশ্যে রয়েছে। এর পেছনে রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বহু চেষ্টা করেছে।’
আপনার দৃষ্টিতে এর পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন বা অন্যকোন অসৎ উদ্যেশ্য রয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে, এই রাজনৈতিক বলেন,‘অবশ্যই এর সঙ্গে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। যখনই কুচক্রি মহল কোন ইস্যু খুঁজে পায় না এবং তখনই নন ইস্যুকে সামনে এনে ইস্যু বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে একটি অন্ধকার সময়কে সামনে আনার চেষ্টা করে। তবে এসব অশুভ উদ্দেশ্য বারবার ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে, এখনো চেষ্টা চালালে তা ব্যাহত করে দেয়া হবে।’
আমরা দেখছি যে, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঔদ্ধত্যের তেমন কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি এটা কেন? উত্তরে নানক বলেন,‘আমরা এখন পর্যন্ত এই বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখছি, অবজারভেশন করছি, তারা কি করতে চায়, কি বলতে চায়, তারা আর কতদূর বাড়তে চায়। আমরা শুধু এটুকু লক্ষ্য করছি। আমি বরিশালের চরমোনাই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের মতামত নেয়ার চেষ্টা করছি। তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে আপনি কিআশ্বস্ত করতে পারেন যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই? আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন,‘এখানে কম্প্রোমাইজ করার কোন সুযোগ নাই, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাংলাদেশে হবেই । এই নিয়ে যদি কেউ পানি ঘোলা করতে চায় তাদেরকে আমরা দেখিয়ে দেবো যে, পৃথিবীর কোন কোন মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা প্রচারণায় যাব। যারা ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দিচ্ছেন, ভাস্কর্যকে যারা মূর্তি বলছেন, তারা আসলে মূর্তি ও ভাস্কর্যর পার্থক্য বোঝে না। কাজেই তাদের কে শেখাতে হবে তাদেরকে, বুঝাতে হবে যে মূর্তি এবং ভাস্কর্য একনা। আমরা সেই কাজটি করছি, তারপর না বুঝতে চাইলে তাদের উদ্দেশ্য যদি অসৎ উদ্দেশ্যে হয় তাহলে আমাদেরকে বাঁকা পথে যেতে হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।