নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
ভ্যাকসিন আসার আগেই ভ্যাকসিন রাখার জন্য জায়গা, লোকবল এবং ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আগেই তৈরি করতে হবে। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিন কেনার সময় অবশ্যই দেখেশুনে কিনতে হবে। বিশেষ করে যে ভ্যাকসিনটা বেশি কার্যকরি, আমাদের দেশের আবওহাওয়ার সঙ্গে মানানসই এবং পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন। এছাড়া দামের দিক বিবেচনায় নিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে এমন ভ্যাকনসিন কিনতে হবে। কোনো দাতা সংস্থা যদি বিনামূল্যে দেয় তাহলে হয়তো নেয়া যেতে পারে, তবে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই দামের বিষয়টা বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সংরক্ষণ জরুরি। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। বিশেষ করে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমান তাপমাত্রার প্রয়োজন যা আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। কোনো কোনো ভ্যাকসিনে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি আবার কোনোটিতে ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখতে হবে। আর এসব কাজের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন যখন আসবে তখন ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ভ্যাকসিন যেহেতু গ্রামে-গঞ্জে যাবে, ফলে নির্দিষ্ট পরিবহন ব্যবস্থা আগে থেকেই রাখতে হবে।
এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জানান, সরকার ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন আনার জন্য চুক্তি করেছে কিন্তু এই ভ্যাকসিনগুলো প্রথমে কারা পাবে সে বিষয়টা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখতে হবে। অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো আগেই নির্ধারণ করতে হবে কারণ এতো মানুষকে একসাথে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। এজন্য আগে থেকেই তালিকা করে রাখতে হবে যে এরা আগে ভ্যাকসিন পাবে।
যাদেরকে আগে ভ্যাকসিন দিতে হবেঃ
১. সম্মুখযোদ্ধা: ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা কাজের সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে সবার আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এজন্য হাসপাতালের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
২. যাদের ঝুঁকি বেশি: যেসব মানুষ শারীরিকভাবে অনেক বেশি ঝুঁকিতে আছে তাদেরকে সবার আগে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে যরা বয়স্ক, যাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা আছে যেমন, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, লিভার, কিডনিসহ বার্ধক্যজনিত রোগীদেরকে সবার আগে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. মাঠ প্রশাসন-নিরাপত্তাকর্মী: মাঠ প্রশাসন এবং নিাপত্তাকর্মীদেরকে প্রথম দিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব এবং বিভিন্ন নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
৪. গণমাধ্যমকর্মী: বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা করোনা নিয়ে সংবাদ উপস্থাপন এবং জনসচেতনতার কাজে যুক্ত থাকে ফলে এদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি।
যদিও একটা পর্যায়ে সবাই হয়তো ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এদেরকে আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এসব বিষয়গুলো আগে থেকে রেডি করে রাখতে হবে। অন্যথায় ভ্যাকসিন আসলে বিতরণে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে তাড়াহুড়ো না করে সবচেয়ে ভালো এবং কম দামের ভ্যাকসিন ক্রয় করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।