নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২০
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, সারাবিশ্ব যেখানে শাস্তি উঠিয়ে দিচ্ছে সেখানে বিশ্বের বর্বর ও অসভ্য দেশগুলো শাস্তি বাড়াচ্ছে। আর বর্বর ও অসভ্যতার প্রধান নিয়ামক বা নিদর্শন হলো, যে সমাজ যতো বর্বর সেই সমাজে শাস্তি তত কঠিন। আর যে সমাজ যত সভ্য সেই সমাজে শাস্তির ওপরে নির্ভরশীলতা কম, শাস্তিও কম। কাজেই শাস্তি কমিয়ে আসামিদের সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপকালে এসব কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, শাস্তি দেয়ার পেছনে দুইটা উদ্দেশ্য থাকে। প্রথমত প্রতিশোধ নেয়া। অতীতে ছিলো শাস্তি মানে প্রতিশোধ। তুমি আমার হাত ভেঙেছো আমি তোমার হাত ভাঙবো। বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে এই শাস্তির কথা বলা ছিলো। মৃত্যুর জন্য মৃত্যু, পুরুষের জন্য পুরুষ, নারীর জন্য নারী, দাসের জন্য দাস, ফ্রি মানুষের জন্য ফ্রি মানুষ। ইসলাম, বাইবেল, তাওড়াতসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে অপরাধের এই ধরনের শাস্তির বিধান আছে। অতীতে শাস্তির উদ্দেশ্য ছিলো প্রতিশোধ। তারপর গত ২শ আড়াইশো বছরের মধ্যে এর পরিবর্তন হয়েছে।
দ্বিতীয়ত হলো, মানুষ ভুল করতেই পারে কাজেই তাকে সংশোধনের একটা সুযোগ দিতে হবে। যদি কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাহলে তার সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকে না। কোনা আসামিকে যদি আমৃত্যু জেলখানায় রাখা হয় তাহলে সে জেলখানায় ভালো থেকে কি করবে?। কোনো আসামিকে যদি ২০ বছরের জেল দেয়া হয় আর তাকে যদি বলা হয় যে ভালো কাজ করলে শাস্তি কমিয়ে দেয়া হবে তখন সে ভালো কাজ করবে, সংশোধন হয়ে যাবে। কিন্তু রায়ে যদি বলা হয়, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলে থাকতে হবে। তাহলে সে কোনোভাবেই ভালো কাজ করবে না কারণ ভালো কাজ করলেও তার কোনো লাভ নেই। সুতরাং সে আরো খারাপ হবে মানুষকে মারধর করবে, জেলারদের সাথে খারাপ আচরণ করবে। একটা পর্যায়ে তাকে নিয়ন্ত্রণ করাটা জেলারদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। কেন না তার ভালো হওয়ার কোনো সুযোগ কিংবা স্বপ্ন নেই। এখানে তার জীবনের সমাপ্তি ঘটবে। সুতরাং সংশোধনের সুযোগ থাকছে না।
তিনি জানান, গ্রিনল্যান্ড একটি দেশ যে দেশটিতে কোনো জেলখানা নেই। সেখানে আদালতের শাস্তি হচ্ছে, বাড়িতে থাকবেন কিন্তু ঘরে থেকে বের হবেন না, অনেকটা কোয়ারেন্টাইনের মত। কোনো পুলিশ নেই, কোনো গার্ড নেই। আসামিকে বলে দেয়া হয় যে আপনি ২ মাস ঘর থেকে বের হবেন না এটাই আপনার শাস্তি। আর সেই ব্যক্তিও প্রতিজ্ঞা করলো যে আমার শাস্তি হয়েছে আমি ঘরের ভেতরে থাকবো। কিন্তু আমাদের দেশে হলে আসামিরা চিন্তা করতো কীভাবে এখান থেকে বাইরে বের হওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, একজন মানুষ কোনো অন্যায় বা খারাপ কাজ করে ফেলেছে তাকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্য হলো শাস্তি শেষে সেই ব্যক্তি যেন ভালো হয়ে যায়। আর ভালো হওয়ার জন্য তাকে একটা সুযোগ দিতে হবে। জেলখানা বা শাস্তির কারণ হচ্ছে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দেয়া। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড বা আমৃত্যু পর্যন্ত কাউকে কারাভোগ করা কোনোভাবেই সংশোধনের সুযোগ থাকে না। বর্তমানে বিশ্বের ১৪০টির মতো দেশে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান নেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।