নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২০
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম এ আজিজ বলেছেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের কাজে সহযোগীতা না করে আমলারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। স্বাস্থ্যখাতের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
প্রশাসনের সাথে চিকিৎসকদের দ্বন্দ্বের বিষয়ে ডা: এম এ আজিজ বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের সাথে আমাদের অফিসিয়ালি কোনো দ্বন্দ্ব নেই, চাকরির বিধিমালা নিয়েও কোনো দ্বন্দ্ব নেই কিন্তু প্রশাসন ক্যাডাররা সব সময় চিকিৎসা ক্যাডারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। করোনা পরিস্থিতে চিকিৎসকরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন কিন্তু মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা চিকিৎসকদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে সহায়তা করছেন না। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিচ্ছেন, যে পদগুলো স্বাস্থ্য ক্যাডারের জন্য প্রযোজ্য। প্রশাসন ক্যাডারের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ। আর এসব কারণে চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডারের দ্বন্দ্ব আছে। তারা তাদের কর্তৃত্বের জন্য চিকিৎসকদের বঞ্চিত করছেন। এ কারণে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসকদের সংগঠন (প্রকৃচি) পক্ষ থেকে আমরা সামলে আন্দোলনে যাবো।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকরা আন্দোলনে গেলে চিকিৎসা সেবায় কোনো প্রভাব পরবে কি না জানতে চাইলে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, আমাদের আন্দোলনে চিকিৎসা সেবার ওপরে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমাদের দাবি, আমাদের অধিকার দিতে হবে। করোনাকালে চিকিৎসকরা কাজ করবে, সেবা দেবে কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বক্তব্যের সময় বলবেন তারা সব করছে এমনটা হতে দেয়া যাবে না। তাদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে চিকিৎসকরা তাদের মনোবল হারাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্ত ক্যাডার বৈষম্য দূর করা হবে। সে লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব সব ক্যাডার নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন কিন্তু এপর বিষয়টা আলোর মুখ দেখেনি। কারণ বাকি কাজটুকু প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন করবেন ফলে তারা আর আগাতে দেয়নি। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।
ডা: এম এ আজিজ বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মাঠ পর্যায় থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণায় যেহেতু টেকনিক্যাল মন্ত্রণালয় সেহেতু এর দায়িত্ব টেকনিক্যাল লোকদের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। প্রশাসন ক্যাডারের থেকে চিকিৎসক ক্যাডারদের মেধা কম নেই কাজেই যার কাজ যার কাজ তাকে দিয়ে করতে হবে বলে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।