নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক বলেছেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী এবং সচিবের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে, তার প্রধান কারণ হলো মানসিকতা। মন্ত্রী মনে করেন, আমিই মন্ত্রণালয়ের সব, সব কিছু আমার কর্তৃত্বে চলবে। অন্যদিকে সচিব মনে করেন, তিনিই নির্বাহী কর্মকর্তা, কাজেই সব ক্ষমতা তার।’ তিনি বলেন ‘এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। দুজনকেই ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাতে হবে। দুজনকেই বুঝতে হবে, জনগণের সেবার করাটাই আসল।’ বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এই মন্তব্য করেন সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-সচিব দ্বন্দ্ব প্রসংগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী কথা বলেন।
অধ্যাপক রুহুল হক মনে করেন ‘এই দ্বন্দ্ব দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো, সংসদীয় কমিটি গুলোকে কার্যকর করা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।’ আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেত্রী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তিনিই প্রথম সংসদীয় কমিটি গুলোতে মন্ত্রীদের বদলে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব দেয়ার ব্যবস্থা প্রচলন করেন। যেকোন বিল পাশের আগে তা সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন ও আলোচনার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তিনি যেভাবে সংসদীয় কমিটি গুলোকে কার্যকর এবং জবাবদিহিতার কেন্দ্র করতে চাচ্ছেন, সেভাবে হয়নি।’ তিনি বলেন ‘এটা অভ্যাস, চর্চার ব্যাপার। একদিনে বা হঠাৎ করে এই জবাবদিহিতা তৈরী হয় না। আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র এখনও নবীন। আস্তে আস্তে আশা করি আমরা সেই কাংখিত জায়গায় পৌছতে পারবো।’
তিনি বলেন ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সার্বভৌম। সংসদকে যদি নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতার জায়গায় আনা যায়, তাহলে মন্ত্রী ও সচিবের দ্বন্দ্ব কমবে।’ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন ‘মন্ত্রী ও সচিব দুজনকেই মনে রাখতে হবে তারা আসলে জনগনের সেবক। ক্ষমতাবান তারা কেউই নয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র ক্ষমতাবান হলো জনগণ। কাজেই জনগণের জন্য যখন কাজের মানসিকতা তৈরী হবে, তখন এই দ্বন্দ্ব কমে যাবে।’ আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন ‘ যে কোন মন্ত্রনালয়ে, মন্ত্রী এবং সচিবের বিরোধে মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি বাধাগ্রস্থ হয়। এর ফলে আসলে ক্ষতি গ্রস্থ হয় জনগণ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।