নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২০
মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ভাষ্কর্য নিয়ে উষ্কে দিচ্ছে যুবলীগ তাদেরকে প্রতিহত করবে। বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যুবলীগ তাদেরকে প্রতিহত করতে মাঠে আছে, থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর এবং চলমান ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ভাস্কর্য আছে কিন্তু হঠাৎ করেই মৌলবাদীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতা করছে। এর মধ্যে অনেক বড় ষড়যন্ত্র আছে। একটা সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উষ্কে দেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু সেটা সফল হতে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালির চেতনার জায়গা সুতরাং আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কঠোর প্রতিবাদ করছি এবং সারাদেশের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে আছে।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী যুবলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে ফলে মৌলবাদীদের নীল নকশা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। হেফাজতে ইসলাম এই বিষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হয়েছে কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসার এলাকা চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য রয়েছে কিন্তু সেই ভাস্কর্য নিয়ে তারা কিছু বলে না। এই বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলায় একটা বিষয় পরিষ্কার যে, একটা পক্ষ পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের পায়তারা করছে কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হবে না। দেশের মানুষ আগেই বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে সুতরাং তাদের নীল নকশা সবাই প্রতিহত করবে।
অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে এমন উদাহরণ টেনে এই সংসদ সদস্য বলেন, সেসব দেশের ভাস্কর্য তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে। সেখানে কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠি ভাস্কর্যের বিরোধীতা করে না। কিন্তু বাংলাদেশের মৌলবাদীরা দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য ভাস্কর্য নিয়ে অপরাজনীতি করার পায়তারা করছে। মৌলবাদীরা ভাস্কর্য ইস্যুকে ধর্মীয় মোড়ক দিতে চাইছে। কিন্তু ভাস্কর্য ইস্যু এখন শুধু আওয়ামী লীগের একার বিষয় নেই এটা সার্বজনীন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের সাধারণ মানুষ, ছাত্র-শিক্ষক রাস্তায় নেমেছে। কাজেই মৌলবাদীদের ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদের সারাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে এবং আওয়ামী লীগে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলো মাঠে নেমেছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এখন উত্তাল সারাদেশ। বঙ্গবন্ধু আমাদের অস্তিত্ব। সুতরাং যারা আমাদের অস্তিত্বে হাত দিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।