নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০
পদ্মাসেতু প্রকল্পের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন করা থেকে সরে দাঁড়ায়। সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেয়। পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। অভিযোগ আছে ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছিলেন। পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিরোধীতাকারী ড. ইউনূসকে নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি’র) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে দাতা সংস্থার অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূসসহ কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিলো বলে সব মহলে আলোচিত। এই ঘটনার সত্যতা কতটুকু জানতে চাইলে ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, এই কথা শতভাগ সঠিক। ড. ইউনূস দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন মহলে লবিং করে বিষয়টা সামনে নিয়ে আসে। যেখানে কাজ শুরু হয়নি সেখানে দুর্নীতির প্রশ্নই আসে না। ড. ইউনূসের মূল ক্ষোভ ছিলো বয়স বেশি হওয়ার কারণে তাকে যখন গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন তিনি সরকারকে চাপে রেখে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য মনগড়া কাহিনী তৈরি করে যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। আর এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হয় দেশের কিছু গণমাধ্যমে।
পদ্মা সেতুতে যদি কোনো দুর্নীতি নাই হয় তাহলে বিশ্ব ব্যাংকসহ এনজিওগুলো অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালো কেন জানতে প্রধানমন্ত্রীর এই সাবেক উপদেষ্টা বলেন, ড. ইউনূস বিদেশে লেখাপড়া করেছেন এবং পশ্চিমা বিশ্বে তার একটা লবিং গ্রুফ আছে যারা তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। আর সেই মহলটাই ড. ইউনূসের ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বিশ্বব্যাপী একটা লবিং চালিয়েছে। ড. ইউনূস যা করেছেন সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর ওপরে তার রাগ ছিলো সেই রাগ ঝেরেছেন পদ্মা সেতুর ওপরে।
ড. ইউনূস নোবেল পুরষ্কার পেয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন কিন্তু তাকে বাংলাদেশে সমাদর করা হয় না এমন অভিযোগ আছে বিভিন্ন মহলে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, মীর জাফর তখনকার বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যে কাজ করেছিলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মোশতাক যে কাজ করেছিলো, ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর বিরোধীতা করে পুরো জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সুতরাং বাংলাদেশের নতুন মোশতাক হচ্ছেন ড. ইউনূস। তিনি যদি বাংলাদেশের মানুষের ভালো চাইতেন তাহলে জাতীয় ইস্যুতে ভূমিকা রাখতেন। তিনি ভূমিকা রাখেন বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সযত্নের মূল নায়ক ড. ইউনূস। তবে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।