নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, ভারত যদি আগে থেকে জানিয়ে দিতো যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর অন্যদেশে ভ্যাকসিন দেবে। তাহলে বাংলাদেশের অন্য উৎস থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো বলে জানিয়েছেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ভারত আমাদেরে প্রমাণিত এবং রক্তের সাথে সম্পৃক্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করতে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু নিকট অতীতে বেশকিছু ঘটনা প্রমাণ করে যে ভারত আমাদের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করছে। তারা মুখে যেটা বলে ভেতরে সেটা করে না। তার বড় উদাহরণ হচ্ছে যখন আমাদের পেঁয়াজের অভাব পরে তখন তারা হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। যাতে অল্প সময় আমরা অন্য কোথাও থেকে পেঁয়াজ না আনতে পারি। অন্যদিকে বাংলাদেশে যখন পেঁয়াজ ওঠার মৌসুম থাকে তখন তারা পেঁয়াজ রপ্তানি করে।
তিনি বলেন, ভারত এখন হঠাৎ করে বলছে তাদের দেশে টিকার চাহিদা পূরণ করে অন্যদেশে দেয়া হবে এবং সেখানে অবশ্যই বাংলাদেশ প্রাধান্য পাবে। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টা অনিশ্চয়তা দিকে যাচ্ছে।
ভ্যাকসিনের ভেতরে ব্যবসায় ঢুকেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়টি যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারক করছেন সেহেতু শেষ পর্যন্ত এর থেকে কেউ বড় কোনো লাভ করতে পারবে না। কিন্তু লাভের চিন্তা থেকে হয়তো ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার চেষ্টা হতে পারে। সবমিলিয়ে ভ্যাকসিন ইস্যুতে অত্যন্ত বিমাতাসূলভ আচরণ করছে ভারত।
তিনি বলেন, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ভারতের ওপরে নির্ভর না করে একাধিক উৎস খোলা রাখতে হবে। যাতে মুমূর্ষ সময়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে না হয়। যদিও আল্লাহর রহমতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমের দিকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আরও আন্তরিক হওয়া দরকার। তবে ভ্যাকসিনকে ভারত যে পেঁয়োজের সাথে মিশিয়ে ফেলছে এই দুঃখজনক।
বিকল্প হিসেবে অন্য কোনও ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে উদ্যোগ কেমন হওয়া দরকরা জানতে চাইলে তিনি বলে, ইতিমধ্যে আমাদের কাছে চীনের কিছু ভ্যাকসিন এসেছে সেগুলো ট্রায়ালের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোন দেশের থেকে ভ্যাকসিন আসলো সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা সেগুলো সঠিক মানের কি না সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।