নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা গত এক বছর ধরে বিশ্লেষণ করে দেখেছি ‘প্রথম আলো’ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচারণা চালাচ্ছে। বাংলা ইনসাইডারে সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নিজস্ব জনবল দিয়ে “সুরক্ষা” সফটওয়্যার ও অ্যাপটি তৈরি হচ্ছে সেহেতু এটি তৈরিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কোনো অর্থ খরচ হবে না। প্রথম আলো সূদুর-প্রসারী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। অতীতে আমরা দেখেছি অগণতান্ত্রিক সরকারকে আনার জন্য বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং সমাজের যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী হিসেবে দাবি করেন তারা সুযোগ-সুবিধার জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। আর এ কারণে এ ধরনের ধারাবাহিত প্রতিবেদন ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কত লোক করোনার টিকা নিলো এই অ্যাপের মাধ্যমে সেটা আমাদের জাতীয় ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা হবে। আর এই অ্যাপ্লিকেশন্স তৈরি করবে আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামার ও সহকারী প্রোগ্রামাররা। ফলে তাদেরকে কোনো টাকা দিতে হবে না। আর এ কারণে বাইরের কোনো কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে করোনা টিকা বিতরণ ব্যবস্থাপনা নিবন্ধন অ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
প্রথম আলো সংবাদপত্র ডিজিটাল প্রযুক্তি বিভাগের বিরুদ্ধে গত প্রায় ১০ মাস ধরে প্রতি মাসে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলো সেখানে বলা হয়েছিলো এই পার্কটি পুরোপুরি ব্যার্থ হয়ে গেছে। কিন্তু তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে সেখানে মাত্র ১০ শতাংশ ভ্যাকেন্সি আছে বাকি ৯০ শতাংশ সফল। তার মানে হেডলাইন দিচ্ছে একটা আর ভেতরে লিখছে আরেকটা এবং উদ্দেশ্য ভিন্ন।
তিনি বলেন, সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করে যখন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আনা নিয়ে শঙ্কা নেই তখন সেই বিষয় নিয়ে ৯০ কোটি টাকার একটা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ মানুষের সামনে তুলে ধরে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন এবং অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।