নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতি উন্মুক্ত করে দিয়ে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের হাতে আধুনিক প্রযুক্তি তুলে দেয়ার ফলে দিন দিন তারা অপরাধ প্রবণ হয়ে পড়ছে।
উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের অপরাধ প্রবণতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ড. জিনাত হুদার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. জিনাত হুদা বলেন, অল্প বয়স্ক এসব ছেলে-মেয়েদের হাতে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তুলে দেয়ার আগে কি আমরা একবারের জন্যও ভেবে দেখেছি এর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। অতি আধুনিক প্রযুক্তির কারণে পাশ্চাত্য দর্শনের বিষয়গুলো যেমন অতিমাত্রায় স্বাধীনতা এবং সবকিছু উন্মুক্ত হচ্ছে। কিন্তু এটাকে সমাজ গ্রহণ করবে কি না সেটা বিবেচনা করার দরকার ছিলো। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ভালো দিকগুলো না নিয়ে নিষিদ্ধ দিকগুলো গ্রহণ করছে আমাদের সন্তানরা। ফলে এই বিষয়গুলোর প্রতি তাদের আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে এবং সেটা প্রয়োগ করার জন্য আক্রমনাত্মক হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা পাশ্চাত্যের পোশাক, সংস্কৃতি ও আচরণকে সঠিকভাবে নিতে পারছে না। শুধু যে পাশ্চাত্য দর্শন অনুপ্রবেশ করছে বিষয়টা এমন নয়। এর সাথে মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল সংস্কৃতিও হু হু করে আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ছে। ফলে এই প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে দুটো বিপরীতমুখী সংস্কৃতি বাঙালি সংস্কৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করছে। আবহমানকালের চিরচেনা সংস্কৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করছে। আর এই সাংঘর্ষিকতা এবং দাম্ভিকতার ফলে সন্তানদের আচার-আচরণ ঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে না। পরিবারের ভেতরে বাবা-মা সঠিক আচরণ করতে পারছেন না সন্তানদের সাথে। কিছু কিছু বাবা-মা নিজেরাই ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। আবার অনেক বাবা-মা মনে করেন ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেট না চালালে গ্লোবাল হওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু গ্লোবাল হওয়া মানেই নিষিদ্ধ জিনিস কিংবা অনাকাঙ্খিত জিনিসের প্রতি আসক্ত হওয়া নয়।
তিনি আরও বলেন, এখন শুধু কিশোর নয় কিশোরীরাও মোহগ্রস্ত, বিভ্রান্ত, অতিমাত্রায় ক্ষমতাশীল কিংবা স্বাধীন মনে করে প্রযুক্তির ফাঁদে পড়ে জীবন দিচ্ছে কিংবা শরীর রক্তাক্ত করে পরিবার ও সমাজকে ধাক্কা দিচ্ছে। এটা আমাদের সমাজের জন্য অশনিংসকেত। এখন আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে সন্তানদেরকে সময় দেয়ার। পাশাপাশি তাদের পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে সন্তানদের মানবিক শিক্ষা দিতে হবে এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।