নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেছেন, ভ্যাকসিন যে তাপমাত্রা সংরক্ষণ করা থাকবে সেই তাপমাত্রায় বিতরণ করতে হবে। ঢাকা থেকে যে তাপমাত্রায় রাখা থাকবে সেই একই তাপমাত্রায় ঢাকার বাইরে নিতে হবে এবং বাইরে নেয়ার পরেও একই তাপমাত্রায় রেখে বিতরণ করতে হবে। ফলে ভ্যাকসিনের তাপমাত্রা ঠিক রেখে সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণ করা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজম্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, টিকাদানে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য দেখিয়েছে ফলে করোনার ভ্যাকসিন দিতে সমস্যা হবে না। আমাদের যে লোকবল আছে তাদের দিয়ে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। এই বিষয়ে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে টিকা দানকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে যাতে কোনো ধরনের ভূলত্রুটি না হয়। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের বিষয়টি সঠিক দিকেই আগাচ্ছে। তবে বিতরণে প্রক্রিয়া কি হবে বা প্রথমে কারা পাবে সেটা সরকার ঠিক করবে। সবকিছুর আগে টিকা বিতরণ শুরু করতে হবে। যখন বিতরণ শুরু হবে তখন বোঝা যাবে কোন জায়গাতে ঘাটতি আছে তখন সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
তিনি বলেন, করোনা একটি নতুন ধরনের মহামারী কিন্তু এই ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ খুবই সফলতা দেখিয়েছে। আর এখন করোনার ভ্যাকসিন বিতরণে সরকারের সামনে নতুন চ্যালঞ্জ কিন্তু বাংলাদেশে টিকাদানের অতীত অভিজ্ঞতা অনেক ভালো সেই অভিজ্ঞতা কালে লাগালে কোনো সমস্যা হবে না। সরকার এখন সংরক্ষণের জায়গা ঠিক করছে এবং সারাদেশে কি পরিমাণ স্টোরেজ আছে সেগুলোর কার্যক্ষমতা কতটা সেসব বিষয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন রাখার কথা সেই তাপমাত্রায় না রাখতে পারলে সমস্যা হবে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিবেচনায় শুধুমাত্র একটা ভ্যাকসিনের ওপরে নির্ভর করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থার ভ্যাকসিন আনার দিকে জোর দিতে হবে। চীন, রাশিয়া কিংবা আরও কিছু দেশের ভ্যাকসিন আনার দিকে জোর দিতে হবে। এ ছাড়া চীন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফলে তাদের ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে বলে জানান এই চিকিৎসক নেতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।