নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দলের অভ্যন্তরে আলোচনার বিষয়গুলো জনসম্মুখে বলার কোনো এখতিয়ার নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং দলীয় পদে থেকে জাতির বিকের সাজার প্রবণতা প্রসঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক একথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি যেহেতু তৃণমূলের সাথে কথা বলেন কাজেই কারও কোনো কথা থাকলে সেটা দলীয় ফোরামে বলার সুযোগ আছে। কিন্তু এরপরেও যারা দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কথা বলছেন তাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্থনীয় সরকার দেশর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সরকার সামগ্রিক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে ফলে সেই উন্নয়ন বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার অবকাঠামো ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে দলের যোগ্য প্রার্থীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী করা। এসব যোগ্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হলে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আন্ত:কোন্দলের বিষয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত হচ্ছে কেউ যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরোধীতা করে নির্বাচন করেন তাহলে তিনি চিরদিনের জন্য নৌকার মনোনয়ন হারাবেন। এ ছাড়া কোনো এমপি বা নেতা যদি বিদ্রোহী প্রার্থীকে উস্কানি দেন কিংবা তার পক্ষে সহযোগীতা করেন তাহলে সেই এমপিও নৌকা পাওয়ার অথিকার হারাবেন। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের কঠোর অবস্থানের কারণে বিদ্রোহী হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে আসছে।
আওয়ামী লীগে এখন প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল এবং এই দলে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। কাজেই যার যার অবস্থান থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী হচ্চেন। কিন্তু আমরা যারা সাংগঠনিকভাবে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে আছি তারা চেষ্ঠা করে এই বিষয়টা অনেকাংশে কমিয়ে এনেছি। তবে এ ধরনের প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা আওয়ামী লীগের জন্য ভালো না। প্রার্থীর নিজেকেই ভাবতে হবে যে আমি কতোটা যোগ্য প্রার্থী হবার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি সারাদেশে একটি জরিপ করেছেন যে কার সাথে কার দ্বন্দ্ব। আর এই জরিপের প্রতিবেদন আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। সুতরাং দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এই প্রেসিডয়াম সদস্য।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।