নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের বড় চ্যালেঞ্জ হবে করোনা মহামারী মোকাবেলা করা। এতে ৩ থেকে ৬ মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যাপারে উদার হতে পারেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ ও মার্কিন কূটনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মার্কিন নির্বাচন হয়েছে অনেক আগেই কিন্তু অনেক টালবাহানা ও জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডো বাইডেন শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন আজ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডো বাইডেনের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তার মধ্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনা মাহামারী মোকাবেলা করা। এরপর স্থানীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন। অন্যদিকে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধের বিষয়টাও জো বাইডেনকে ভোগাবে। এ ছাড়া নির্বাচনে পরাজীত হওয়ার পরেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যেহেতু ক্ষমতা ধরে রাখতে অনেক টালবাহান করেছেন কাজেই দেশব্যাপী ট্রাম্পের সমর্থক গোষ্ঠিকে ম্যানেজ করে রাষ্ট্রিয় সিদ্ধান্ত নেয়া নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জের।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডো বাইডেন ক্ষমতায় আসায় আর যাই হোক ট্রাম্পের আমলের মতো হবে না। জো বাইডেন যেহেতু আগে বহুদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেহেতু পররাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি, সরকার পরিচালনা এবং প্রশাসনিক বিষয়গুলো তিনি ভালো ভাবেই সামাল দেবেন।
জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন আসবে কি না জানতে চাইলে এই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটা অর্থনৈতিক। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই মূহুর্তে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেহেতু ভালো হচ্ছে কাজেই তাদের সাথে আসাদের সম্পর্ক ভালোই থাকবে। তবে বাংলাদেশের আশা থাকবে যুক্তরাষ্ট্র যেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও সোচ্চার হয় এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র কি ধরনের সম্পর্ক করে সেটা দেখা দরকার। জলবায়ু মোকাবেলা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি কিছুটা উদারনীতি গ্রহণ করতে পারে তিনি। তবে জো বাইডেনের আমল ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত হবে না। জো বাইডেন সামনে কি ধরনের নীতি গ্রহণ করেন সেটার ওপরে নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।