নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
কবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, অফিসে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এটা আমাদের জন্য আশার কথা তবে আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার কম।
সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার এবং ভাষা দিবসের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. মুহাম্মদ সামাদ। পাঠকদের জন্য ড. মুহাম্মদ সামাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমি ভাষার শুদ্ধ চর্চা চাই। তবে ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া রেডিওতে ভাষাকে বিকৃত করে আঞ্চলিক উচ্চারণের প্রভাব বাড়ানো হচ্ছে। তবে সরকারের আন্তরিকতায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বাংলা ভাষার চর্চ্চা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার যথাযথ ব্যবহারের জন্য সরকার এবং রাষ্ট্রের নাগরিক সমাজকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার আইন করলো কিন্তু আমরা নিজেদের মতো করে ভাষার বিকৃতি করলাম তাহলে সরকারের একার পক্ষে বাংলার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরে বাংলা ভাষার ব্যবহার বেড়েছে। এখন অফিসের বিভিন্ন প্রজ্ঞাপনে বাংলা তারিখ পর্যন্ত উপরে দিতে হচ্ছে তার নিচে ইংরেজি তারিখ।
ড. মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, মানুষের মধ্যে বিশেষ চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে। আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি এবং আমাদের ভাষার প্রতি অন্য যেকোনো দেশের থেকে বেশি মায়া থাকার কথা। আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে সবাইকে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপন হয়েছিলো এবং সেখান থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে কাজেই সেই ভাষার সংগ্রামটাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাষাকে আরও যত্নসহকারে চর্চ্চা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সময়ে শিক্ষার মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণি থেকে ইংরেজি শিক্ষা দেয়া হতো কিন্তু এখন প্রথম শ্রেণি থেকেই ইংরেজির সঙ্গে পরিচিত করানো হয় সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি চাপ। এক্ষেত্রে বাচ্চাদেরকে ইংরেজি শিক্ষার চাপ কমাতে হবে। শিশুরা চতুর্থ শ্রেণিতে গিয়ে ইংরেজি শুরু করলে এতে তারা শুরুতে বাংলার সাথে বেশি করে সম্পৃক্ত হতে পারবে। এ ছাড়া মানুষের মধ্যে এক ধরনের অহমিকা তৈরি হয়েছে যে ইংরেজি জানলেই সমাজের মধ্যে মর্যাদা বেশি পাবে এ ধরনের মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।