নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে বয়স না কমানোর কারণ হলো টিকা স্বল্পতা। এখন যদি ৩০ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় তাহলে আরও এক কোটি মানুষেকে টিকা দিতে হবে কিন্তু এই মূহুর্তে এতো টিকা নেই। কাজেই যাদের বিশেষ প্রয়োজন তাদের টিকা দেয়া হবে। আর সেই বিবেচনায় টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বয়সের বিধিনিষেধ করা হচ্ছে।
টিকাদান কার্যক্রম এবং চলমান করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় একথা বলেছেন ডা. এবি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এবি এম আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. এবি এম আব্দুল্লাহ বলেন, শুরুতে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হওয়ার কারণে এই টিকা যে নিরপাদ সেটা প্রমাণিত। আর এ কারণে মানুষের মধ্যে এখন টিকা নেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে যারা টিকা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো তাদের সেই উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে আমরা অনেক ভাগ্যবান যে অল্প সময়ের মধ্যে এতো ভালো মানের টিকা পেয়েছি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারণে। এখনও অনেক দেশ টিকা পায়নি। কিন্তু আমাদের দেশে ইতিম্যধ্যে ১৬ লাখেও বেশি মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি কানাডার সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন টিকা নেয়ার জন্য আর আমাদের দেশে ইতিমধ্যে টিকাদান চলছে।
তিনি বলেন, করোনার শুরুতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেও সরকার ভালোভাবেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। এরপর ভ্যাকসিন আসবে না বলে যে গুঞ্জন চলছিলো তারও অবসান ঘটিয়ে ভারতের টিকা বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশের টিকাদানের সক্ষমতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির কারণে টিকাদান ভালোভাবেই আগাচ্ছে। শুরুতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম থাকলেও এখন সবাই টিকা নিচ্ছেন।
ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের ওপরে নির্ভর হলেই চলবে না। ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে আমাদের তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে এবং হাত ধোয়াটা চালু রাখতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে জোর দিতে হবে এবং যতদূর সম্ভব সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো পরিহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।