নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, কাদের মির্জার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বিব্রত। তার ব্যাপারে দলীয়ভাবে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লাগামহীন কথাবার্তা ও আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। পাঠকদের জন্য আব্দুর রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
বিভিন্ন মহলে কথা উঠেছে যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই বলেই তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আব্দুর রহমান বলেন, দলেও উর্ধ্বে কেউ নয়। একজন মানুষ যদি ধরেই নেন যে তাকে বোঝানো যাবে না তাহলে তাকে কীভাবে বোঝানো যায়?। আর এই কারণে তিনি লাগামহীন কথাবার্তা বলেই চলেছেন।
কাদের মির্জার এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়েনি জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল এবং লাখো নেতাকর্মী রয়েছেন কিন্তু সবার বক্তব্যই আওয়ামী লীগের দলীয় বক্তব্য হতে পারে না। বিক্ষিপ্তভাবে যারা অতিরঞ্জিত কথা বলছেন সেসব কথার দ্বায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এগুলো তাদের ব্যক্তিগত বিষয় এবং এর দ্বায় তাদেরই নিতে হবে।
কাদের মির্জার বিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, কাদের মির্জার বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আওয়ামী লীগ দলীয় শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল এবং দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান।
আবদুর রহমান বলেন, সবাইকে অনুরোধ করবো কেউ যেন কোনো অবস্থাতেই দলের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকেন। কারও যদি কোনো কিছু বলার থাকে তাহলে দলীয় ফোরামে বলতে পারেন। আওয়ামী লীগ দলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং দলীয় ফোরামে সবারই কথা বলার সুযোগ আছে। কিন্তু তা না করে রাস্তা-ঘাট, সামজিক মাধ্যমে বা জনসভায় দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।