নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র বিডিআর জওয়ানদের দ্বারা হয়নি তাদের নেপথ্যে ছিলো ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু জওয়ানদের বিচার হলেও মুখোশ উন্মোচিত হলো না নেপথ্যের কুশিলবদের।
পিলখালা হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সেদিনের ঘটনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন মোহাম্মদ আলী শিকদার। পাঠকদের জন্য মোহাম্মদ আলী শিকদারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড হঠাৎ করে হয়নি এর পেছনে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ছিলো। আর এই বিষয়টি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণেও বলা হয়েছে। ৫০ দিন আগে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই ছিলো ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র যারা করেছে তাদের মুখোশটা উন্মোচিত হলো না। যারা সামনে থেকে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তাদের বিচার হয়েছে এবং সেই বিচারটি খুব দ্রুতসময়ের মধ্যে হয়েছে।
তিনি বলেন, পিলখানার এতো বড় ষড়যন্ত্র যারা করেছে তারা অনেক শক্তিশালী এটা কোনো চুনোপুটিদের ষড়যন্ত্র ছিলো না। এ ধরনের ষড়যন্ত্র সরাসরি রাষ্ট্র বিরোধী এবং এটাতে জীবনের ঝুঁকি ছিলো। প্রশ্ন হলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ষড়যন্ত্র করলো কারা?। ষড়যন্ত্র যদি সফল হয় তাহলে তারা ষড়যন্ত্রের ঝুঁকির বহুগুণ বেশি লাভবান হবে সেই চিন্তা থেকে এতো বড় ঝুঁকি নিয়েছিলো। একটা বিষয় পরিস্কার যে এর পেছনে অনেক বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিলো এবং সরকার পতন হলে ষড়যন্ত্রকারীরা লাভবান হতো। তাহলে বুঝতে হবে আওয়ামী লীগ সরকার পরে গেলে কারা লাভবান হতো?।
মোহাম্মদ আলী শিকদার আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে। কাজেই ষড়যন্ত্রকারীরা বুঝে যায় যে বৈধ পথে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। আর তখন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারগুলো ছিলো ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য বিপজ্জনক। আওয়ামী লীগের ওয়াদা ছিলো তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার এবং বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে জঙ্গি গোষ্ঠী প্রতিবেশি ভারতে অপতৎপরতা চালায় সেগুলো বন্ধ করার ওয়াদা। আর এই ইশতেহার দেখে ষড়যন্ত্রকারীরা বুঝতে পেরেছিলো তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং তাদের অপরাধের বিচার শুরু হবে। তাই বিচারের হাত থেকে রক্ষা পেতেই আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য পিলখানার বিডিআর জওয়ানদের ব্যবহার করেছিলো। তবে পিলখানার হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য এক অপুরণীয় ক্ষতি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।