নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের অভিযানে খুব ভালো করছে তারই স্বীকৃতি হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আমরা। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে।
উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হওয়ার সুযোগ-সুবিধা ও চ্যালেঞ্জের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. আতিউর রহমান। পাঠকদের জন্য ড. আতিউর রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. আতিউর রহমান বলেন, সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশ পৃথিবীতে প্রথম দেশ যে দেশ পরপর দুবার ৩টি সূচকেই ভালো করেছে। যে পরিমাণ মাথাপিছু আয় থাকা উচিৎ তারচেয়ে অনেক বেশি আমাদের মাথাপিছু আয়। মানব সম্পদ উন্নয়নের মানদণ্ডের টেকসহ ক্ষমতায় আমরা অনেক এগিয়ে। অন্য কোনো স্বল্পন্নোত দেশ সবগুলো সূচকে পরপর দুবার সাফল্য দেখাতে পারেনি। সবচেয়ে বড় কথা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যে সুযোগ সুবিধা সেটা আমরা ২০২৬ সাল পর্যন্ত পেতে থাকবো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের আরও ৩ বছর সময় বেশি দেবে।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুযোগা-সুবিধা পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের মর্যাদা বাড়বে এবং আমরা আর গরিব দেশ না। এটা আমাদের জন্য গর্ভের বিষয়। একটা সময় বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি কিন্তু এখন আর সেই কথা কেই বলতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, এই রূপান্ত হওয়ার পরেই বাংলাদেশের বিনিয়োগ ঋণ মানের উন্নতি হবে এবং বিদেশিরা ভাববে যে বাংলাদেশ আর স্বল্পন্নোত দেশ না কাজেই সেই বিবেচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে। আর এই জায়গায় আসার জন্য আমাদের অনেক সক্ষমতা দেখাতে হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় কি ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব সম্পদ আহরণের ক্ষমতা বাড়াতে হবে, রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। এ ছাড়া আমরা বিদেশি যে ঋণ পাব সেখানে সুদের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে এবং ইতিমধ্যে বাড়া শুরু করেছে কিন্তু সেটা খুবই সামান্য। আমাদের যে সাফল্য সেটা যদি ধরে রাখা যায় তাহলে অনেক দেশই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহি হবে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটা পজিটিভ ইমেজ তৈরি হবে। আর এসবের পেছনে বড় ভূমিকা ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। আর এক্ষেত্রে বড় সমর্থন এসেছে সরকারের ধারাবাহিকতা এবং যুগান্তকারী অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।