নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০২ মার্চ, ২০২১
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক জোট সেটা যার যার অবস্থানে ঠিকই আছে তবে আগের মতো কর্মতৎপরতা এখন নেই।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ১৪ দলীয় জোটের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন বাহাউদ্দিন নাসিম। পাঠকদের জন্য বাহাউদ্দিন নাসিমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ১৪ দলের সমন্নয়ক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু এবং করোনার কারণে এই জোটের কর্মতৎপরতা অনেকটা কমেছে। একজন মানুষ চলে গেলে তার জায়গায় অন্যকেউ দায়িত্ব পালন করতে গেলে কিছুটা সময় লাগে। তবে জোটের অস্তিত্ব সংকটে বা আগামীতে জোট থাকবে না এমনটি ভাবার কারণ নেই। এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের মনে হয়তো একটুখানি আশার আলো জেগেছে কিন্তু দেশের মানুষ তাদের সেই চক্রান্তে পা দেবে না ফলে তাদের কূট কৌশল কাজে দেবে না। দেশের মানুষ বিএনপির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনেও জনগণ তাদের ভোট দিচ্ছে না।
ঢাকায় ছাত্রদলের রাস্তায় নামার চেষ্টা, লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের রাস্তায় নামা, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিবসহ নেতাদের সাক্ষাৎ সবকিছু মিলিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির শুধু দিন দেয় যে অমক দিন মাঠে নামবে কিন্তু মাঠে নামতে হলে যেই সক্ষমতার দরকার সেটা তারা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। এখন তাদের দলীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নয়াপল্টন, গুলশান, লন্ডন আর আল জাজিরায়। তারা মাঠের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। তারা আন্দোলনের ভয় দেখায় কিন্তু সেই ভয়ে আওয়ামী লীগে যেমন বিচলিত না তেমনি সাধারণ মানুষও কোনো উৎকণ্ঠায় নেই। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই রাজনৈতিক পথ পরিক্রমা তৈরি করে আমরা চলার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা কতটা বজায় থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকায় অনেক প্রার্থী আগ্রহী হয়। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা বিদ্রোহী হচ্ছেন তাদের বিষয়ে দলের কঠোর অবস্থানের কারণে বিদ্রোহীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমছে। একটা মহল যে ঢালাও অভিযোগ করতো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না কিন্তু তারা এখন তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। নির্বাচন ফেয়ার হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণেই দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।