নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, শিক্ষকদের জাতির বিবেক বলা হয় কিন্তু সেই বিবেকই যদি নষ্ট হয় তাহলে তারা যাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন তারা আগামী দিনের বিবেক হিসেবে গড়ে উঠবে না।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং শিক্ষকদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য আবদুল মান্নানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
আবদুল মান্নান বলেন, শিক্ষকতা পেশাটাই এমন যিনি শিক্ষক হবেন তার প্রধান বৈশিষ্টই হবে নৈতিকতা। কারণ শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শেখানোর দায়িত্ব কিন্তু তার। একজন শিক্ষক যদি নৈতিকতা থেকে দূরে সরে আসেন তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীরা। যখন কোনো শিক্ষক কিংবা প্রশাসকের নৈতিকতার বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে তখন এটা খুবই লজ্জাজনক। তবে অভিযোগ উঠা বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া এবং তদন্তে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে উপচার্যদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনেক বড় বড় তদন্ত প্রতিবেদন হয়েছে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। শুধমাত্র দুএকটি বিষয় ছাড়া বাকি সবগুলোরই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক উপাচার্য জেলে গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হাতে গোনা দুই একটা ঘটনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। আর এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব একান্তভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এই অনিয়ম দুর্নীতিগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি হয়।
শিক্ষকদের রাজনীতিতে জড়ানোর প্রবণতার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়াতেই পারেন কারণ শিক্ষকের বাইরেও তিনি দেশের নাগরিক। সংবিধান অনুযায়ী দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যেকোনো ব্যক্তির রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু রাজনীতির থেকে পেশাকে আলাদা রাখতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করে রাজনীতিতে সময় দিতে পারেন তবে সবার আগে নিজের পেশার দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই রাজনৈতিক আচরণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করা যাবে না। একজন শিক্ষক এক দল করতেই পারেন কিন্তু তার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে পারে। তাই বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা যাবে না। সকল শিক্ষার্থীদের সমান চোখে দেখতে হবে। কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় আলাদা চোখে দেখা কোনো শিক্ষকের নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।