নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, অক্সফোর্ডের আবিস্কৃত যোকোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা যাবে। এছাড়া যে টিকা আছে সেটা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ শুরু করা যেতে পারে।
চলমান করোনা পরিস্থতি, টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং দেশে টিকা আনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আর্সলান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সেক্ষত্রে যদি ভারতের টিকা বাংলাদেশে না আসে তাহলে যে ৬০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত থেকে যে ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি সেটা অক্সফোর্ডের প্রযুক্তি নিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করছে। এ ছাড়া অক্সফোর্ডের প্রযুক্তি নিয়ে অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান টিকা তৈরি করছে। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা আনতে পারলে বাংলাদেশে ভারতের টিকা না আসলেও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া সম্ভব। কিন্তু অক্সফোর্ডের আবিস্কৃত ফর্মুলায় উৎপাদিত টিকা না পেলে বাংলাদেশে যে ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হবে না।
ডা. ইকবাল আর্সলান আরও বলেন, নতুন যারা টিকা নিচ্ছেন তাদেরকে টিকা না দিয়ে আগে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের টিকা নেয়ার সময় বিবেচনা করে এই টিকা দিয়েই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অ্যান্টিবডি টেস্ট করার অনুমতি সরকার এখনও দেয়নি। এই টেস্ট না করার কারণে বোঝাও গেলো না যে যাদের টিকা দেয়া হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার সফল। এরপর সরকারের কূটনৈতিক সক্ষমতা ও সম্পর্কের কারণে অনেক আগেই বাংলাদেশ ভালো মানের ভ্যাকসিন পেয়েছে। এরপর টিকা দানের অবকাঠামো ও সক্ষমতার কারণে ভালোভাবেই চলছে টিকাদান কর্মসূচি। কিন্তু মাঝে কিছুদিন করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এক ধরনের উদাসীনতা দেখা দেয়। এই সময়ের মধ্যে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানেনি এবং করোনার নতুন ধরনের কারণে হঠাৎ সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আবার কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দিকে জোর দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।