নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২১
সমাজকর্মী ও নারী নেত্রী খুশি কবির বলেছেন, সরকার হেফাজতকে যে ছাড় দিচ্ছে এভাবে ছাড় দিলে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। কারণ হেফাজতের অনেক বেশি ক্ষমতার লালসা।
হেফাজতের তাণ্ডব এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন খুশি কবির। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
খুশি কবির বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থান হলে শুধু সরকার নয় দেশের অনেক বড় ক্ষতি হবে এবং এই রাজনীতির কারণে দেশে বিভাজনের রাজনীতির উত্থান হবে। যা দেশের একটি অংশের মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক। সরকার বাম রাজনীতি কিংবা ছাত্র সংগঠনের ব্যাপারে যতটা কঠোর হচ্ছে সেই তুলনায় হেফাজতের ব্যাপারে ছাড় দিতে দেখা যাচ্ছে। আর এই ছাড় পেয়েই তারা দেশে তাণ্ডব সৃষ্টি করতে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, থানায় হামলা চালাচ্ছে এবং দেশব্যাপী এক অরাজক পরিস্থিতির তৈরি করছে। দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থানকে এখনই কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এরা যদি এভাবে ছাড় পেয়ে ডালপালা ছড়াতে থাকে তাহলে একটা সময় এরা দানবে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, হেফাজত যে অনেক বেশি ক্ষমতা লোভী সেটা বোঝা যাচ্ছে। তারা নিজেদের মতো করে সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের দখলের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া আর এ কারণে সারাদেশে তাণ্ডব করে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিচ্ছে হেফাজত। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখেছি সেখানে এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণ আছে এবং তারা সেখানে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। সরকার হেফাজতের পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের ক্ষতি করছে, নিজেদেরও ক্ষতি করছে।
হেফাজতের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের কি ভূমিকা ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ হিসেবে আমরা ক্ষত্রিগ্রস্ত এলাকায় যাচ্ছি, সবার সঙ্গে কথা বলছি এবং বাস্তব চিত্রগুলো সবার সামনে তুলে ধরছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি আমাদের দেশের যারা প্রতিষ্ঠিত অমুসলিম তারা মনে করছেন যে এদেশে তাদের নিরাপত্তা নেই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ দিয়েছিলো ৭৮ সালে তখন থেকে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে এখনও এই রাজনীতি করতে সুয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই জায়গা থেকে বেড়িয়ে ৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করার নীতি বাস্তবায়নে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। নাগরিক সমাজের দায়িত্ব পালন করেছেন মামলাকারী ব্যক্তি। কিন্তু দেখার বিষয় মামলার আসামীদের গ্রেফতার এবং শাস্তি হয় কি না। কারণ হেফাজত নেতাদের নেতৃত্বে দেশের যে ধরনের নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে তারা এর দ্বায় এড়াতে পারে না। অথচ তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।