নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন উর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা সাংঘর্ষিক।
চলমান করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন এবং করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আর্সলান। পাঠকদের জন্য ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, একদিকে লকডাউন চলছে অন্যদিকে গণপরিবহন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ফলে এই নামে মাত্র লকডাউনে কোনো ধরনের ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না। এটাতে শুধু মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে এবং মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হবে। এই মূহুর্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং যে হারে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে কার্যকরি লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জোর দিতে হবে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে যাতে কেউ যদি ঘরেও থাকেন তিনি যেন স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে জোর দেন। এ ছাড়া লকডাউন দিলে কঠোরভাবে মানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। লকডাউন দিলাম আবার সবকিছু চললো তাহলে কাজ হবে না।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আগামী ৮ মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে সেহেতু সম্মুখযোদ্ধাদের সবার আগে টিকা দেয়া দরকার। বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, মাঠ প্রশাসনসহ যারা করোনা মোকাবেলায় সামনে থেকে ভূমিকা রাখবেন তাদেরকে সবার আগে নিরাপদ থাকা দরকার। তারা যদি দ্বিতীয় ডোজের টিকা পান তাহলে তাদের মনোবল অনেক বাড়বে এবং তারা সামনে থেকে করোনা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারবেন।
হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ এবং বেড বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলাতেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সারাদেশেতো আর হাসপাতাল বানানো যাবে না। যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে করে আইসিইউ সংখ্যা যতই বাড়ানো হোক না কেন সংকুলান হবে না। এক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে সংক্রমণ কমানো। আর সংক্রমণ কমাতে হলে কোনোভাবেই ঢিলেঢালা লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখালে চলবে না। এক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আর এখনই যদি কঠোর অবস্থানে না যাওয়া হয় তাহলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করেন এই চিতিৎসক নেতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।