নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৯ এপ্রিল, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় কঠোরভাবে লকডাউন দেয়ার আগে নিত্যপণ্য ও খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে করোনা মারতে গিয়ে মানুষ মারা পড়বে এবং এভাবে একটা সময় পর মানুষ লকডাউন মানবে না।
কারফিউ আদলে লকডাউনের পরিকল্পনা এবং চলমান করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা মোকাবেলা এখন উভয় সংকটে রূপ নিয়েছে। একদিকে লকডাউন দরকার অন্যদিকে মানুষের নিত্যপণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা করা দরকার। এ কারণে সীমিত আকারে দোকানপাট, গণপরিবহন খুলে দিয়ে একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। সাধারণ মানুষের অনেক জরুরি প্রয়োজনীয়তা থাকে যেগুলো না হলে মানুষ ঘরে থাকতে পারবে না। এ ছাড়া অনেকে রমজান, পহেলা বৈশাখ এবং ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটার দরকার পূরণ করবেন। তবে কয়েকদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে খারাপের দিকে গেলে কঠোর বিধিনিষেধের দিকে যেতে হবে। আর এর আগে মানুষের নিত্যপণ্য ও জুরুরি সেবাগুলো নিশ্চিত করার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার সময় এখন। তবে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপার শিথিল করা যাবে না।
করোনার নতুন ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনও আসেনি। তাই আগে যে ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে সেই চিকিৎসা এক্ষেত্রেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত তারা হপিয়ে যাচ্ছি। এতো পরিমাণ রোগী আসছে যা সামাল দেয়া কঠিন। ফলে লকডাউন হোক আর কঠোর বিধিনিষেধ হোক করোনা সংক্রমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের যে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে সেটি অত্যান্ত উচু মানের। যদিও বাড়তি রোগীর জন্য বেড কিংবা আইসিইউ এর ব্যবস্থা করাটা কঠিন, তবে রাতারাতিতো আর হাসপাতাল বানানো যাবে না। তাই সংক্রমণ কমানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু দেশে করোনা মোকাবেলার সব ধরনের অবকাঠামো, ভালো হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি চলমান এবং টিকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে আমাদের এখন দরকার হলো সচেতনতা। সচেতন হতে হবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। এ ছাড়া ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে এবং হাত ধোঁয়াটা চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টা গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।