নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, এবার কঠোর লকডাউন হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগবে আর এই ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্ন আয়ের মানুষ। এজন্য দরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা রাখা জরুরি। তাদের খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা না থাকলে একটা সময় পর এদের ঘরে রাখা যাবে না, জীবিকার তাগিদে বাইরে চলে আসবে।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলপচারিতায় এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ (বিআইডিএস) এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, প্রথম ধাপে করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি যখন দাঁড়াচ্ছে ঠিক তখন দ্বিতীয় ধাক্কা। লকডাউন যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ লকডাউন মানবে না। জীবিকার জন্য বাইরে বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে করে লকডাউনের যেমন প্রয়োজন তেমনি মানুষের জীবিকারও প্রয়োজন। যখন ঘরের খাবার শেষ হয়ে যাবে তখন কোনোভাবেই মানুষকে লকডাউন মানানো যাবে না। তাই দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে না গিয়ে কিছুদিন কঠোর লকডাউন দিয়ে যদি সংক্রমণ কমে তখন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে জোর দিতে হবে যাতে অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও চাপ কমে। গতবারের লকডাউনের আগে মানুষের কিছুটা সঞ্চয় ছিলো। যার কারণে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবার এসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
লকডাউনে বেড়াতে যাওয়া কিংবা গ্রামে চলে যাওয়া ঠেকাতে প্রস্তুতি রাখতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, লকডাউনে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলো কিন্তু মানুষ গ্রামমুখী হওয়া ঠেকানো গেলো না, এটা হতে দেয়া যাবে না। তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কারণ ঢাকার তুলনায় গ্রামে করোনা সংক্রমণ কম। কিন্তু শহরের মানুষ যদি গ্রামে চলে যায় তাহলে এদের থেকে গ্রামের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবে। এভাবে সারাদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। আর এটা যদি ঠেকানো না যায় তাহালে লকডাউনে শুধু অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এবারের লকডাউনে অর্থনৈতিক প্রণোদনার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত প্রণোদনায় যাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসান হয়েছে তাদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য সহজ নিয়মে স্টাটাপ ক্যাপিটালের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও, এসএমই ফাউন্ডেশন, বিসিকসহ এই ধরনের সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। যদিও কিছুটা দুর্নীতি হবে কিন্তু ওই মানুষগুলোর হাতে কিছুটা হলেও অর্থ পৌঁছবে। যেহেতু তাদের ব্যবসা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে তাই তারা কোনো ব্যাংক ঋণের সুযোগ পায়নি। ফলে এটি তাদের জন্য কাজে দেবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।