নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনা সংক্রমণ না কমলে হাসপাতালের অবকাঠামো কিংবা আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে কোনো কাজে আসবে না। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন মানতে বাধ্য করতে হবে।
চলমান করোনা পরিস্থিতি, কঠোর লকডাউন এবং করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এখন বিভিন্ন মহলে কথা উঠছে যে দেশে আইসিইউ এর সংকট। কিন্তু কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন যে রাতারাতি আইসিইউ তৈরি করা যায় না। এ ছাড়া আইসিইউ তৈরির জন্য যেসব যন্ত্রাংশ দরকার হয় সেগুলো বিদেশ থেকে আনতে হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যেসব দেশ থেকে আইসিইউ যন্ত্রাংশ আনা হবে সেসব দেশের পরিস্থিতিও খারাপ। ফলে এসব যন্ত্রপাতি আনা কঠিন। এ ছাড়া আইসিইউ এর জন্য বাড়তি জায়গা, ম্যানেজমেন্ট করার জন্য প্রশিক্ষিত লোকবল দরকার যা হঠাৎ করেই ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। তাই আইসিইউ বেড নয়, করোনা সংক্রমণ কমানোর দিকেই বেশি মনোযোগী হওয়ার দরকার। যদিও কিছু কিছু জায়গায় করোনা চিকিৎসার অবকাঠামো এবং আইসিইউ বেড বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারের লকডাউন যেন শুধু বলার জন্য বলা না হয় যে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউন যেন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। কঠোরভাবে যদি লকডাউন বাস্তবায়ন না করা যায় তাহলে এর কোনো কাজেই আসবে না। এজন্য এখন থেকে মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে রাস্তাঘাটে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকে কঠোরভাবে বিধিনিষেধের মধ্যে এনে লকডাউন মানতে বাধ্য করতেই হবে।
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু দেশে করোনা মোকাবেলার সব ধরনের অবকাঠামো, ভালো হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি চলমান এবং টিকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে আমাদের এখন দরকার হলো সচেতনতা। সচেতন হতে হবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। এ ছাড়া ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে এবং হাত ধোঁয়াটা চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টা গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।