নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২১
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যারা সন্ত্রাসী ও নাশকতা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। নাশকতা চালিয়ে দেশকে অস্তিতিশীল করে কেউ পার পায়নি এখনও পাবে না।
দেশব্যাপী হেফাজতের তাণ্ডব, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলপচারিতায় এসব কথা বলেছেন মাহবুব উল আলম হানিফ। পাঠকদের জন্য মাহবুব উল আলম হানিফের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, অন্যায় করলে কারও ছাড় নেই। সরকার কারও শক্তি বা দলীয় পরিচয় বিবেচনা করে না। অন্যায় করে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকেও জেল খাটতে হয়েছে। সেই বিবেচনায় হেফাজতের নেতারও আইনের আওতায় আসবে। যারা নাশকতা করেছে তারাই শাস্তি পাবেই।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজত দেশব্যাপী যে নাশকতা ও সন্তাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তারা সন্ত্রাসী তাদের শাস্তি হবে। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো বিষয় নেই। যারা অপরাধ করবে তাদের শাস্তি হবে এটা রাষ্ট্রীয় বিষয়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব নাশকতাকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে যাতে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে সাহস না পায় সে জন্য তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, নাশকতাকারীদের শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে একটা বার্তা দেয়া হবে যে রাষ্ট্রের সম্পত্তি ধ্বংস করে কেউ টিকতে পারবে না। তাকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কে কোন রাজনৈতি বা ধর্মীয় নেতা সেটা বিবেচনা করা হবে না। যারা মানুষের জনমালের ক্ষতি করবে তারা সন্ত্রাসী, অপরাধী। কাজেই অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।
তিনি বলেন, সরকার পরিচালনার পাশাপাশি সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকলে কোনো উন্নয়ন-অগ্রগতী হয় না। সেই কারণেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার কৌলশ অবলম্বন করে কখনও শক্ত, কখনও নরম। আর এভাবেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতীকে এগিয়ে নিতে হয়। এর সাথে রাজনীতির বা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ধর্মভিত্তিক রজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। যেখানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থান সেই পাকিস্তানেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসেবে বাংলাদেশেও ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করা এবং ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা, ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া দরকার। আর এটা করা এখন সময়ের দাবি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।