নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতার জয়ের ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের রজনীতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের ক্ষেত্রে অনেক বড় ধাক্কা। তবে ভোটের হিসাবে বিজেপি অনেক ভোট পেয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে তা পুরো অঞ্চলের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের নির্বাচনের মমতার জয় এবং ভারতীয় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। পাঠকদের জন্য ড. ইমতিয়াজ আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে নির্বাচন, প্রচার-প্রচারণা করেছে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদি বাংলাদেশে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কেন্দ্রীয় নেতাদের লাগাতার প্রচারণার পরেও তারা জয়ী হতে পারেনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এবার বিজেপির জয় হলে ভারতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আরও বেগবান হতো। কিন্তু মমতার জয়ের ফলে সেই সম্ভাবনায় ভাটা পড়েছে। তবে সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যাবে না। কারণ বিজেপি এই রাজ্যে অনেক ভোট পেয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের এই বার্তা যদি সারা ভারতের ছড়িয়ে যায় তাহলে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভীত আরও মজবুত হবে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোমড় ভেঙে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে মমতার জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য একটি বার্তা জানিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থান হলে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো মাথাচারা দিতো। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যারা করতে চায় তারা অনেক বেশি উৎসাহিত হতো। কিন্তু এই নির্বাচনে মমতার জয়ের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থানের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের ধাক্কা লাগলো।
মমতা জয়ের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কোন দিকে যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মমতার এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোর দিকেই যাবে। কিন্তু সবাই যেটা বলে যে বাংলাদেশের অমিমাংসিত ইস্যুগুলো বিশেষ করে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি ঝুলে যাবে এই বিষয়টি সঠিক নয়। ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতির জন্য তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে। আগে কংগ্রেস সরকার তারা মমতাকে দোহাই হিসেবে ব্যবহার করেছে এখন বিজেপি সরকারও একই কাজ করছে। তিস্তার মূল সমস্যা হচ্ছে সিকিমের একাধিক ড্যাম তৈরি করা হচ্ছে ফলে সেই জায়গায় যতদিন পরিবর্তন না করা হবে ততদিন সিকিম থেকে আসা তিস্তায় শীত মৌসুমে বেশি পরিমাণ পানি পাওয়া যাবে না। সেই অর্থে বাংলাদেশের নিজের মতো করে যে সমাধানের চিন্তা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশের ভেতরেই বাঁধ বানিয়ে বৃষ্টির মৌসুমের পানি শীতের জন্য রেখে দেয়া সেটাই সমাধান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।