নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২১
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা পরবর্তী অর্থনীতির ধাক্কা সামাল দিতে আমাদের গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিকে যেকোনোভাবে সচল রাখতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সরকারকে কৃষি অর্থনীতির জন্য নানা ধরনের প্রণোদনা, ব্যাংক ঋণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই সেক্টর সচল থাকলে করোনার প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলা করে অর্থনীতি দ্রুত দাঁড়িয়ে যাবে।
চলমান লকডাউনে অর্থনীতির প্রভাব এবং লকডাউন পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাঠকদের জন্য ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
করোনাকালে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পখাত, কিছু প্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট ও শপিংমল খোলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা একটি ভালো সিদ্ধান্ত এতে করে কিছুটা হলেও অর্থনীতির রিকভার হবে। এ ছাড়া এসব শিল্পের সঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি সম্পৃক্ততা রয়েছে ফলে এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ফলে তাদের জীবিকারও একটা ব্যবস্থা থাকবে। আর এসব প্রতিষ্ঠান যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যেত তাহলে এসব মানুষের আয়ের কোনো উৎস না থাকার ফলে তাদের জীবিকার ওপর অনেক বড় প্রভাব পড়তো এবং তারা বাইরে বেড়িয়ে আসতো।
অন্যান্য দেশে লকডাউনের সময় মানুষের আয়ের উৎসের ব্যবস্থা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকায় করোনাকালে ঘরে বসে ১৫ ডলার ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন ফলে তারা কঠোরভাবে লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব মানছেন অন্যদিকে তাদের জীবিকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য যে সহায়তা দেয়া হচ্ছে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য যা দিয়ে ঘরে বসে লকডাউন মাান সম্ভন নয়। কারোর সঙ্গে জীবন এবং জীবিকা দুইটা বিষয় জড়িত তাই বিষয়টা অনেক জটিল। ফলে কিছুট খোলা না রাখলে জীবিকার অবস্থা একেবারে স্তব্ধ হয়ে যাবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতি যেভাবে যাচ্ছে তাতে করোনার একটি ধাক্কা অবশ্যই লাগবে। তবে চলমান লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে সচল এবং বেগবান রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ করোনার পরে আমাদের অর্থনীতি স্বাভাবিক করতে গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি একটি বড় ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি আমাদের ছোট ছোট শিল্প যাতে একেবারে বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্যও সরকারকে এখন থেকেই নানাবিধ উদ্যোগ নিতে হবে। তবে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন করোনা মোকাবেলা করে দ্রুত মৃত্যু ও সংক্রমণ কমাতে হবে। যত দ্রুত করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে তত দ্রুত দেশের অর্থনীতি সচল হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে। তবে এই মূহুর্তে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের যে ভেরিয়েন্ট সেটা আমাদের জন্য বাড়তি হুমকির কারণে ওই ভেরিয়েন্ট দ্রুত ছড়ায় তাই এই পরিস্থিতির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা জরুরি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।