নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২১
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাজনিত কারণে বিশেজ্ঞদের মতামত নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে দেখা উচিত নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া এবং এই বিষয়ে বিএনপির দলীয় অবস্থানের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। পাঠকদের জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই মূহুর্তে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ তাই তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আর তার চিকিৎসার সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনীতি জড়ানো আদৌ ঠিক হবে না। সবার আগে জীবন বড়। খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে কোনা রাজনীতি চলে না। এই মূহুর্তে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা সবেচেয়ে জরুরি। আমাদের দলের অবস্থান হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এটা নিয়ে দয়া করে সরকারি দল বা অন্য কেউ যেন কোনো ধরনের রাজনীতি না করে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা খালেদা জিয়ার সুস্থতা নিয়ে খুবই চিন্তিত এবং দেশবাসীর কাছে আমরা খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া কামনা করছি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং রোগের ধরন বিবেচনায় করে তার চিকিৎসা করানো প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক নানামুখী জটিলতার জন্য দেশে হোক বিদেশে হোক তার জন্য যেন উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা যেখানে চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন তাকে সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। এখন খালেদা জিয়ার জীবন মরনের প্রশ্ন এখানে দয়া করে কোনো ধরনের রাজনীতি করবেন না।
খালেদা জিয়াকে এই মূহুর্তে দেশের উন্নতমানের হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং তিনি এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। এই অবস্থায় তার বিদেশ নেয়ার বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন,‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যে এখন খবুই খারাপ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তিনি যদি গুরুতর অসুস্থ না হবেন তাহলে এতোদিন কেন তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেয়া হলো না বা বিদেশ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হলো না। তার মানে এখন তিনি খুবই অসুস্থ এবং তার শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা বিদেশ নেয়ার পরামর্শ দিলে সরকারের উচিত বিষয়টিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রেখে বিদেশে যেতে দেয়া।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।