নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, প্রথমত হচ্ছে দেশে আইনের শাসন নেই। তাই মানুষ বেপরোয়া হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, লকডাউনের কারণে বেশীরভাগ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দারিদ্রসীমার নিচে গেছে। অনেকের আয় চলে গেছে, অনেকে আয় কমেছে। মূলত একটা বীভৎস অবস্থা। এটি আগামী দুই-তিন মাস পর পুরোদমে বোঝা যাবে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি করোনাকালীন সংকটে দেশে সামাজিক অপরাধ, অবক্ষয়, সহিংসতা সহ সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. নেহাল করিম। পাঠকদের জন্য ড. নেহাল করিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের যদি বাইরে বের হতে না দিয়ে ঘরের মধ্যে বন্দি রাখেন, তাহলে তার মানসিক বিকাশ ঘটবে না। খেলার মাঠ নেই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীরা কি করবে? তাই তারা সাধারণ প্রবৃত্তি হিসেব টিকটক সহ এসব কাজে আসক্ত হচ্ছে। করোনাকালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি ও অনিশ্চয়তা মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে। ফলে করোনাকাল ও সংক্রামক রোগের এই পরিস্থিতি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এটা অস্বাভাবিক নয়। এ নিয়ে যে সামাজিক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। আমাদের কাছে কোনো তথ্য-উপাত্ত বা পরিসংখ্যান নেই। ফলে সামাজিকভাবে এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা কঠিন।
ধনী-গরিবের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধনী-গরিব দুই শ্রেণির ক্ষেত্রে অপরাধের প্রবণতা ভিন্ন ভিন্ন। ধনীরা ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছে। আর্থিক চাপ মোকাবিলা করার একরকমের সামর্থ্য তাদের ছিল। ফলে তাদের ওপর প্রভাবটা পড়েছে একধরনের। দরিদ্র জনগোষ্ঠী পড়েছে অর্থনৈতিক সংকটে। এটা তাদের জীবনযাপনকে অসম্ভব চাপের মধ্যে ফেলেছে। সরকার যে সহায়তা করেছে, সেটা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
খুন করার পর অতিরিক্ত টুকরো করার কারণ হিসেবে অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, খুন তো করেছেই। তারপর খুন করার পর অতিরিক্ত টুকরো করা হলো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ মনের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
কলাবাগানে চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এটা অভাবের কারণেই যায়। টাকা-পয়সার জন্য বাড়ির দারোয়ান, কাজের লোক, ড্রাইভাররা মিলে যুক্তি করে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে টাকা ভাগ করে নেয়। ব্যপারটা এমন হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।