নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, কোভিডের এই অবস্থায় যে জায়গায় হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে সেই জায়গায় ডেঙ্গু যদি এইভাবে বাড়তে থাকে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও যদি দেখা দেয় তাহলে আসলেই আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে একটা মহা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আছে এবং আমাদের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও এটি আসলে মেইনটেইন করা সম্ভব হবে না।
করোনার মধ্যে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ`র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, লকডাউন কর্মসূচির মধ্যেও কোভিড নিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছে। এর ভেতরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু রোগী দিন দিনই বাড়ছে। সব হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, কোভিডের এই অবস্থায় যে জায়গায় হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে সেই জায়গায় ডেঙ্গু যদি এইভাবে বাড়তে থাকে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও যদি দেখা দেয় তাহলে আসলেই আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে একটা মহা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আছে এবং আমাদের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও এটি আসলে মেইনটেইন করা সম্ভব হবে না। একদিকে হাসপাতালে কোভিড, নন কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে আবার যদি ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকে এতে ডেঙ্গু ওয়ার্ড আলাদা করা একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়ে যাবে। এই যে কোভিড, নন কোভিড, ডেঙ্গু এগুলো হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় করা একটি চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। প্রাইভেট বা সরকারি হাসপাতাল কোনো হাসপাতালেই এইভাবে মেইনটেইন করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি যে, এখানে আসলে সরকারকেও সীমিত রিসোর্সের মধ্যেই প্রস্তুতি নিতে হবে। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ব্যবস্থাপনা কোভিডের পাশাপাশি করতে হবে একই সাথে এখানে জনসাধারণেরও দায়িত্ব অনেক। সেই জায়গায় জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে এবং ডেঙ্গুর জন্য যে সমস্ত নির্দেশনা আছে যেমন, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বাড়িতে কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে, মশা নিধন ইত্যাদি মেনে চলা। সিটি করপোরেশনগুলো যেভাবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে এই মশা নিধন কর্মসূচিটা আরও ভালোভাবে চালানো। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো। এগুলো সিটি করপোরেশনেরও চালাতে হবে এবং জনসাধারণকেও সেগুলো মানতে হবে। তা না হলে আসলে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আছে।
স্বাচিপ এর মহাসচিব বলেন, সংক্রামণ রোগের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ লকডাউন হলে বৈজ্ঞানিকভাবে ভালো। কিন্তু জীবন জীবিকার কারণে আমাদের দুই সপ্তাহ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি যেহেতু এই দুই সপ্তাহে এখন পর্যন্ত কোনো ওই রকম উন্নতি দেখতে পাচ্ছি না, সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে, তারপরও আমরা আশা করেছিলাম দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে একটু সফলতার মুখ দেখবো, হয়তো কিছুটা কমে আসবে কিন্তু সেটা দেখছি না। আবার সামনে ঈদ। এটাও মুসলমানদের একটি বড় উৎসব। এটা ধর্মীয় আবেগ, অনুভূতির ব্যাপার। সেখানে তাদের বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ। যাওয়া, আসা, কোরবানী, জামাতে ঈদের নামাজ পড়া ইত্যাদি। এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমি মনে করি যে, এই ঈদুল আযহাটাও কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই বা একধরনের বিধিনিষেধের মধ্যেই করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি শিথিলতাও থাকে তারপরও এই বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদটা করতে হবে। তাছাড়া বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আরও বেশি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।