নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সরকারের ভেতরে যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। নতুবা শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভেঙে পড়া, প্রশাসনে জামায়াত-বিএনপি`র উপস্থিতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাস্তব্তা হলো কিছু কিছু ঘর ত্রুটিজনিত কারণে ভেঙে পড়েছে এবং এই ভেঙে পড়ার মধ্য দিয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কিছুটা ব্যাহত করেছে। আমি মনে করি যে, এই ঘরগুলো তৈরিতে কিছু কিছু অপপ্রচার শুরু হয়েছে। যে অপপ্রচার কাম্য নয়। একটি কাজ করতে গেলে সেই কাজটিতে যে শতভাগ সফলতা আসবে তা নয়। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজটি করার জন্য হাতে নিয়েছেন, গৃহহীনদের একটি ঠিকানা দেওয়া একটি মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়া, এই কাজে তাকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে এত বড় একটি কর্মযজ্ঞ যা পৃথিবীতে একটি বিরল দৃষ্টান্ত, সেই জায়গাটিতে একটি বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা জনগণের কোনো স্তরের মধ্যেই কোনো দায়িত্ব পালন করে না, যে মানুষগুলি ওৎ পেতে থাকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করার জন্য। তারা সমালোচনা করেন এবং সমালোচনা করে সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা শুধু প্রশ্নবিদ্ধই শুধু করে না, একটি মহল ড. কামাল হোসেন গংরা যাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, এ মানুষগুলি সব সময় দেশ যখন এগিয়ে যায়, দেশের মানুষ যখন কিছু পেতে শুরু করে এবং শেখ হাসিনা যখন একটি সফলতা অর্জন করে তখনই তারা বিভিন্ন ধরনের অপষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বাস্তবতায় প্রশাসনে জামায়াত-বিএনপি`র উপস্থিতি আছে এবং তারা খুব সূক্ষ্মভাবে তারা ভেতরে ঘাপটি মেরে এই অপকৌশলগুলো করছে। কিন্তু আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবেই এসব মোকাবেলা করবে। সরকারের ভেতরে যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। নতুবা শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, একেবারে জনবিচ্ছিন্ন যারা রয়েছেন সেই জনবিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী বাংলাদেশের কোনো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং এই ষড়যন্ত্র দেশ এবং দেশের বাহির থেকে পরিচালনা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।