নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, প্রশাসনকেও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রচার প্রচারণাও চালাতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা নিয়েও করতে হবে। ১০০ ভাগ লোককে যদি মাস্কের আওতায় আনা যায় তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
লকডাউন শিথিল, পশুর হাট শুরু হওয়া, স্বাস্থ্যবিধির নানা দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ`র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, রাস্তাঘাটে যে যানযট। মানুষ ঝুঁকে পড়েছে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। সব দোকানপাট থেকে শুরু করে সব কিছু খোলা। একটু তো ঝুঁকি আছেই। এই ১৪ দিনের লকডাউনে তো মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। আর শুধু লকডাউন দিয়ে তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। লকডাউন তো দীর্ঘস্থায়ী কোনো ব্যাপার না। অস্থায়ীভাবে কিছুটা উপকার হতে পারে। লকডাউন তো মাসের পর মাস রাখা যাবে না। জনগণের জন্য যেটা সব থেকে জরুরী ঈদও করবে কোরবানিও করবে এবং স্বাস্থ্যবিধি সব সময় মানতে হবে এবং এই বিষয়টার ওপরে জোর দিতে হবে বেশি। কোরবানির জন্য যে হাট বসবে সেই হাটগুলোতে যেনো দূরত্ব মেনে চলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, হাটের আশপাশে সাবান পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। যারা ক্রেতা তারাও যেনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে যায়। তারা যেনো দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশু কেনে। বিভিন্ন জায়গায় যেনো ঘোরাফেরা না করে।
তিনি বলেন, ক্রেতারা চাইলেই এই করোনাকালে অনলাইনেও তাদের কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারে। এইভাবে কোরবানিও চলবে ঈদও চলবে। ঈদের নামাজ নিয়েও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সবাইকে নামাজে যেতে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এরপর কোরবানি করতে হবে। গ্রামে হয়তো দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হয় কিন্তু শহরে দূরত্ব মেনে চলা কঠিন তারপরও করতে হবে। জবাই এর সময় কসাই থাকবে, তার সঙ্গে শ্রমিক থাকবে। তারাও যেনো স্বাস্থ্যবিধি মানে। যখন মাংস ভাগ বাটোয়ারা শুরু করবে তখন অনেক ফকির মিছকিন এবং গরীব লোকজনের লম্বা লাইন থাকে। এখানেও যেনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, দূরুত্ব যেনো মেনে চলা হয়, মাস্ক যেনো সবাই পরে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, আর একটি জিনিষ ভালো হয় যারা যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ উদযাপন করুন। ঈদের জামায়াত আদায় করতে হবে কোরবানিও আদায় করতে হবে। একটি পশু কোরবানী করা ওয়াজিব। একটি কোরবানি দিয়ে যেগুলো বেশি আছে সেই পশুর টাকাগুলো গরীব দুঃখী, যারা কর্মহীন তাদেরকে টাকাটা বন্টন করে দিতে পারেন। এই সময়ের অনেকের হাতে টাকা পয়সা নেই। অনেকের চাকরি নাই, অনেকে কর্মহীন বেকার। না খেয়ে অনেকেই আছে। এদের মধ্যে টাকাটা বিতরণ করে দিতে পারলে তারা উপকৃত হবে। আর যারা কোরবানি দিবে তারা যদি শহরে কোরবানি দিতে না পারেন তাহলে গ্রামের বাড়িতে বন্ধুবান্ধব আছে তাদের কাছে পাঠাতে পারেন। কোরবানিটা গ্রামে দিতে পারেন। অনেক মানুষ আছে নিঃস্ব, কর্মহীন, দরিদ্র। তাদের মধ্যে যদি কোরবানির মাংসটা বিলিয়ে দেওয়া যায় তাহলে কোরবানির যে সত্যিকারের মাহত্ব সেটাই প্রকাশ পাবে। এতে করে তারাও একটু খেলো। তারা তো আর সারা বছর খেতে পারবে না।
তিনি বলেন, করোনা তো মানুষের জনসমাগম এবং চলাচলে বাড়ে। সেই হিসেবে ঈদের পর করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারেই। সবার জন্য কঠোর কথা হলো লকডাউনে কিছু যায় আসে না। স্বাস্থ্যবিধি যেনো তারা মানে। এই স্বাস্থ্যবিধি যদি মেনে চলা হয় তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে না। আর যদি জনগণ ইচ্ছামতো চলে, গা ছাড়া ভাব, যা খুশি তাই করে তাহলে তো এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। এটা জনগণের ওপরে নির্ভর করে। এখানে প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। জনগণকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাকে সচেতন হতেই হবে। তারা যদি সচেতন না হয়, যা মনে চায় তাই করে তাহলে তো প্রশাসন ঠেকাতে পারবে না। এক্ষেত্রে জনগণের সম্পৃক্ততাটা খুব বেশি জরুরী। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্য অবশ্যই মানতে হবে। মাস্ক পড়ার চর্চা, হাত ধোয়ার চর্চা করুক তাহলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্রশাসনকেও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রচার প্রচারণাও চালাতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা নিয়েও করতে হবে। ১০০ ভাগ লোককে যদি মাস্কের আওতায় আনা যায় তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া টিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর থেকে বাঁচার একটাই রাস্তা স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং টিকা নেওয়া। সবাই যেনো টিকাটা নিয়ে নেন। সরকার টিকার প্রপ্যতার ভিত্তিতে বয়সসীমা কমিয়ে আনবে। যত টিকা পাওয়া যাবে ততো বয়সসীমা কমে আসবে। টিকা নেয়াটা জরুরী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।