বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেছেন, দায়িত্ব জনগণেরও আছে। শুধু যে সব দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে, গণমাধ্যমকে নিতে হবে বা হাসপাতালের ডাক্তার সাহেবদের নিতে হবে তা কিন্তু নয়।
ঈদ পরবর্তি করোনার অবস্থা, স্বাস্থ্যবিধি ঠিক মতো না মানা বা মানানো জন্য করনীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, করোনা মহামারীতে বর্তমানে বাংলাদেশের যে অবস্থা সেই অবস্থা মোটেই কাঙ্খিত নয় এবং সেটি আমরা এক কথায় বলতে পারি যে আমাদের সামনের দিনগুলো খুব সুখকর হবে না। সরকার সামগ্রিকভাবে বিষয়গুলো বিবেচনা করে। সরকার মানুষের খাবার কিভাবে আসবে, মানুষ কিভাবে তার জীবনটা চালাবে এদিকে যেমন নজর দেয় ঠিক তার পাশাপাশি মানুষ কিভাবে রোগমুক্ত থাকবে সেদিকেও নজর দেয়। একটি সামষ্টিক চিন্তা বা একটি সামষ্টিক প্রোগ্রাম নিয়ে সরকার এগিয়ে যায়। সরকার একটি বিরাট জাহাজ। তার এইখানে অনেক ধরনের স্টেক হোল্ডার থাকে। সবকিছু নিয়েই তাকে চলতে হয়। একটি পরিকল্পনা সেইভাবেই সরকার নেয়। সেটা সরকারের বিষয় এবং এই মুহূর্তে যে আমাদের একটি ধর্মীয় উৎসব এই ধর্মীয় উৎসবে যদি বাধা দেওয়া হয় বা বাড়িতে যেতে না দেওয়া হয় তাহলে কি রিএ্যাক্ট করে জনগণ সেটা তো আমরা অতীতে দেখেছি। বরং সরকার তাদেরকে যতটুকু নির্বিগ্নে বাড়িতে যাওয়া এবং বাড়ি থেকে ফেরত আসার রাস্তা করে দেওয়ার চেষ্টা করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন কিন্তু দায়িত্ব জনগণেরও আছে। শুধু যে সব দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বা গণমাধ্যমকে নিতে হবে, হাসপাতালের ডাক্তার সাহেবদের নিতে হবে তা কিন্তু নয়। আমি যখন টেলিভিশনে দেখি একজন রোগী আকুতি করছেন যে আমি অক্সিজেন পাচ্ছি না, আমার তাকে বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হয়, আপনি এখন অক্সিজেনের কথা বলছেন কিন্তু অক্সিজেন পাচ্ছেন না। কিন্তু যখন সরকার বলেছিল, চিকিৎসকরা বলেছিল, গণমাধ্যম বলেছিল যে, আপনারা মাস্ক পড়েন, আপনার এই রোগীটা তখন মাস্ক পড়েছিল? এই বিষয়ের বিচার করা ক্ষমতা থাকতো বা সক্ষমতা থাকতো বা প্রশ্ন করার সক্ষমতা থাকতো তাহলে অনেকেরই চুপ থাকতে হতো। কারণ আপনি যদি লেবিশ লাইফ লিড না করেন, আপনি যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলেন তার পরিণতি কি হবে সেটা সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর্মীরা বা গণমাধ্যম আপনাদেরকে জানিয়েই দিচ্ছে। সুতরাং আপনারও তো দায়িত্ব আছে জনগণ হিসেবে এই কাজটা করার।
বিএমএ মহাসচিব বলেন, আমি তো বলি যে, যখন সরকারের সাথে, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে লুকোচুরি করেছেন, এই লুকোচুরিটা প্রকারন্তরে নিজেদের সাথে করছেন, তার পরিবারের সদস্যদের সাথে করছেন, তার প্রতিবেশির সাথে করছেন এবং দেশের সাথে করছেন। কারণ সে নিজেই জানে না আগামীকাল সে আক্রান্ত হতে পারে। আমি জিজ্ঞাসা করেছি চিকিৎসক হিসেবে একজন রোগীকে যে আপনার আত্মীয় তো মারা গেলো। সে আমাকেই বলল যে, সর্দি-কাশি ছিল। এবারের সর্দি-কাশি একটু অন্যরকম। সে স্বীকারই করতে চাইলো না যে করোনায় মারা গেলাে। আমার উদ্দেশ্য ছিল যে, এই রোগীটা করোনায় মারা গেছে এই জিনিষটা উনাকে বলে উনার বা উনার পরিবারের বাকি যারা সদস্য রয়েছে তাদের সকলকে একটু এলার্ট করতে। কিন্তু সেই দিকে তিনি যেতেই চান না। তারপরও আমি তাকে বললাম যে, আমার বলার দায়িত্ব তাই আপনাকে বললাম। আপনারা আগামী ৮-১০ দিন বাড়ি থেকে বেড় হবেন না। এই জায়গাটায় আমরা কোনোভাবেই পারছি না।
তিনি বলেন, এটা বলতে পারেন আমাদের এক ধরনের ব্যর্থতা। গণমাধ্যমও পারছে না, আমরা চিকিৎসকরাও পারছি না, সরকারও পারছে না। এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা। সেই জায়গাটুকু খুঁজে বের করতে হবে যে কিভাবে জনগণকে আস্থায় আনতে হবে। আস্থায় তো আনতেই হবে। বেশিরভাগ লোকই বলে চাপিয়ে দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আস্থায় আনা। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আস্থায় আনা কিন্তু টেকশই হবে না। তাকে বুঝিয়ে আস্থায় আনতে হবে। এখানে যে জিনিষটার সব থেকে বেশি অভাব দেখছি, আপনারা বলছেন, আমরাও বলছি, অনবরত বলছি যে, জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ। যতদিন পর্যন্ত শতভাগ জনপ্রতিনিধি এবং শতভাগ রাজনৈতিক শক্তি সেখানে অংশগ্রহণ না করবে তার আগে পর্যন্ত জনগণকে আস্থায় আনা যাবে না। আর জনগণকে আস্থায় না আনতে পারলে কোনো মহামারী নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এখানে অনেক অনেক লস হবে আমাদের। জীবনরে ক্ষতি হবে। অর্থিক ক্ষতি হবে। সবদিক থেকে ক্ষতি হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।