নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২১ জুলাই, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে সংক্রমণের এখনো যে গতি এটা ঈদের সপ্তাহ দুয়েক পরে একটি বিশাল প্রভাব পড়বে। একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সন্ধিক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জনগণের স্বাস্থ্যবিধি না মানা, ঈদের পরে করোনার পরিস্থিতির কোন দিকে যেতে পারে এই ধরনের নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ`র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, আজকে ঈদের দিন। আমাদের আগে থেকেই এই ঈদ নিয়ে একটি দুশ্চিন্তার কারণ ছিল, একটা শঙ্কার কারণ ছিল। ঈদে একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, মানুষের ঢাকা থেকে যাতায়াত সেটাও আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গণপরিবহন, লঞ্জ, ফেরিতে কোথাও আসলে স্বাস্থ্যবিধি মানে নি এবং লোকজনের অনিহাও ছিল স্বাস্থ্যবিধি মানতে। আসলে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানে নি। আজকের যে ঈদ জামাত, সেই ঈদ জামাতেও অনেকেই আসলে কোলাকুলি, হাত মেলানো এটাও হচ্ছে। আজকে যে কোরবানি এই কোরবানিও একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। যে জায়গায় কোরবানি হয়, সেখানে অনেকেই দেখা যাচ্ছে যে, যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তারা অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বা মাস্ক পড়ছে না। ঈদের জামাতেও অনেক জায়গায় একই জিনিষ লক্ষণীয়। পাশাপাশি আমাদের সামনে রয়েছে ঈদ করে বাড়ি ফেরা বা ঘরে ফেরা অর্থাৎ ঢাকায় ফেরা এটাও একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ একটি।
তিনি বলেন, আগামী ২৩ তারিখ থেকে যদি লকডাউন শুরু হয় তাহলে একদিনে একটি বিশাল জনগোষ্ঠী যারা ঢাকার বাহিরে গিয়েছে তারা আবার ফিরে আসবে। এটাও একটি বড় ভয়ের কারণ। সব মিলিয়েই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে সংক্রমণের এখনো যে গতি এটা ঈদের সপ্তাহ দুয়েক পরে একটি বিশাল প্রভাব পড়বে। একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সন্ধিক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও একটি লিমিটেশন আছে। একের পর এক বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, হাসপাতাল বাড়ানো হচ্ছে, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের ও লিমিটেশন আছে। যদিও আমরা মনে করি সরকার ইতিমধ্যেই অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবুও এই অবস্থার কথা, সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কথা বিবেচনা করে ঢাকাসহ সারাদেশে আরও কোভিড শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিৎ। ঢাকাতে আরও ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল করা উচিৎ এবং বিভিন্ন জেলা পর্যায়েও যেখানে সুযোগ আছে সেখানে কোভিড হাসপাতাল বা শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিৎ। সেই প্রিপারেশন রাখা উচিৎ।
স্বাচিপ এর মহাসচিব বলেন, পাশাপাশি জনসাধারণেরও আরও এখন উপলব্ধি করতে হবে। পাশের দেশ ভারতের অবস্থা বিবেচনায় রেখে, আমাদের যদি এই রকম একটি পরিস্থিতি হয়, আমাদের তো সব কিছুতেই লিমিটেশন আছে, তাহলে আমাদের ভারতের চেয়েও খারাপ অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এখনাে জনসাধারণের সতর্ক হওয়া উচিৎ। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিৎ। আমরা জানি সরকার বিধিনিষেধ সাময়িক শিথিল করেছে কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি কিন্তু শিথিল করে নি। সেই প্রেক্ষাপটে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন চলা উচিৎ এবং সরকারের নির্দেশিত যে পদক্ষেপগুলো আছে সেগুলো তে সহযোগীতা করা উচিৎ। পাশাপাশি আমি মনে করি যে, সরকার এখন গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। সবারই এই টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা উচিৎ। কারণ টিকা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এটাই আসলে এই কোভিড-১৯ এর জন্য উত্তম সমাধান। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।