নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, যারা মাস্ক পরে না, স্বাস্থ্যবিধি মানে না তাদের প্রতি প্রশাসনের কঠোর হতেই হবে। যারা মানছে না তাদের মানাতে যেনো বাধ্য করা হয়। তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসচেতনতাও দরকার জনসম্পৃক্ততাও দরকার।
জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো ব্যবস্থা করা, টিকা নেওয়ার গুরুত্ব এবং বাংলাদেশের টিকা প্রাপ্যতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ`র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, লকডাউন চলছে খুবই ভালো কিন্তু লকডাউন কোনো দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া না। তবে তার চেয়েও জরুরী হলো মানুষ স্বাস্থ্যবিধি যেনো কঠোরভাবে মানে। ১০০ ভাগ লোকই যেনো স্বাস্থ্যবিধি মানে। মাস্ক যেনো অবশ্যই পরে, হাত ধোয়াটা ঠিক মতো করে এবং শারীরিক দূরত্ব এটা হলো সব থেকে জরুরী। এটা সবাইকে অবশ্য অবশ্যই করতে হবে। করোনা থেকে বাঁচার দুইটা রাস্তা। একটা হলো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং দুই নাম্বার হলো টিকা নিতে হবে। যেহেতু এখন গণটিকা কার্যক্রম চলছে সেহেতু টিকাটা সবাইকে নিতেই হবে। সকল ভয় ভীতি উপেক্ষা করে টিকা নিতে হবে। সরকার সবাইকেই দেবে টিকা। যেহেতু এটা প্রাপ্যতার ওপরে নির্ভর করছে সেহেতু একটা বয়স সীমা করা হয়েছে। টিকা না পেলে তো আর সবাইকে দিতে পারবে না। যখন টিকা আরও বেশি পাওয়া যাবে তখন সবাইকে দেওয়া হবে। যেমন প্রথম দিকে ৬০ করা হলো এরপর আস্তে আস্তে কমতে কমতে ৩০ এ আসছে। এটা কেন করা হয়েছিল? টিকা অল্প ছিল। ফলে যাদের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে দেওয়া দরকার তাদের দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, টিকা যতো পাবে ততো দেওয়া হবে। সারা দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। সুতরাত এটা নির্ভর করে প্রাপ্যতার ওপরে। কারণ টিকা তো বাইরে থেকে আনতে হয়। যে দেশ দেয় তাদেরও তো তৈরি করতে হয়। তারাও তো তৈরি করে কুলাতে পারছে না। এমন তো না যে প্রচুর টিকা পড়ে আছে আমরা পাচ্ছি না তা তো না। ভারত আমাদের টিকা দেওয়া বন্ধ করলো কেন? ওরা বন্ধ করে নাই। ওরা রপ্তানী বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ওরা নিজেরাই কুলাতে পারছিল না। ১৩০ কোটি লোক। এর মধ্যে কিভাবে তারা টিকা রপ্তানি করবে। এই কারণেই তারা রপ্তানি বন্ধ করেছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও টিকা অবশ্যই পেয়ে যাবো। আমরা চেষ্টা করছি। যেমন, আমরা চারজন বন্ধু আছে আমেরিকাতে তাদের মাধ্যমে চেষ্টা করছি। ডা. জিয়াউদ্দিন সাদেক একজন আছেন, ডা. মাসুদ হাসান, ডা. হাফিজ একজন আছেন বাপ্পী ভাই। তারা অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকার মডার্নার জন্য। আমি তাদেরকে বারবার বলে যাচ্ছি টিকা আনেন। তারা নিজেরাও ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সাকসেসফুল হয়েছে। তারা আনছে। এইভাবে আরও আসবে আগামী দিনগুলোতে। আরো কিছু দিনের মধ্যে কয়েক লাখ টিকা আমরা পেয়ে যাবো।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে অনেক সচেতন। তিনি লেগেই আছে। যেখান থেকে পারছেন সেখান থেকেই টিকা আনার ব্যবস্থা করছেন। যে যাই বলুক প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ। টিকা আনার চেষ্টা চলছে। তিনি টিকা এনেই ছাড়বেন। এর জন্য টাকাও বরাদ্দ আছে। আমার একটা প্রস্তাব আগে থেকেই রয়ে গেছে সেটা হলো এই দেশে টিকা তৈরির যেনো যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা এই দেশে টিকা তৈরি করবো। আমরা আমাদের চাহিদা মেটাবো প্রয়োজনে আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো। অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আমরা থাকতে চাই না। আমরা আত্মনির্ভশীল হতে চাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য সবথেকে ভালো। আবারও শেষ কথা লকডাউন থাক বা না থাক মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে। আপনাদের খুব জােড়েশোড়ে বলছি, মাস্ক অবশ্যই পরবেন, হাত ধৌত করবেন এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলবেন।
তিনি বলেন, যারা মাস্ক পরে না, স্বাস্থ্যবিধি মানে না তাদের প্রতি প্রশাসনের কঠোর হতেই হবে। যারা মানছে না তাদের মানাতে যেনো বাধ্য করা হয়। তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসচেতনতাও দরকার জনসম্পৃক্ততাও দরকার। আমি মনে করি প্রশাসনকে গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়, ইউনিয়নে প্রত্যেক জায়গায় কমিটি করতে পারে। এখানে সর্বস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকবে। জনপ্রতিনিধি যেমন, এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, মসজিদের ইমাম, অন্য ধর্মের যারা ধর্মগুরু আছেন তাদেরকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠন করে জনগণের মধ্যে প্রচারণা চালাবে। যাতে জনগণ মানে বোঝে এবং তাদের বোঝাতে বাধ্য করা যায়। তাহলে এই বিষয়টা কার্যকরি হবে। একজন ইমাম সাহেবকে সবাই মান্যগণ্য করে। সবাই তাকে মানে। তিনি যদি নামাজের খুৎবার সময় একটু যদি বলে তাহলে মানুষ মানতে বাধ্য। এটা যদি আমরা করি তাহলে আমি মনে করি জনসচেতনতা, জনসম্পৃক্ততা এবং জনগণ প্রশাসন সবাই মিলে কাজ চালিয়ে যাই তাহলে আমি মনে করি এটা সাকসেসফুল হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।