নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অপকর্ম করে আওয়ামী লীগে কেউ রেহাই পায়নি। পাপিয়া কি রেহাই পেয়েছে, শাহেদ কি রেহাই পেয়েছে, জি.কে শামীম কি রেহাই পেয়েছে?
তিনি বলেন, ‘এটা মনে রাখতে হবে যে শেখ হাসিনা কোন কিছু ছাড় দেয় না। ওবায়দুল কাদের অন্যায় করলেও শেখ হাসিনা ছাড়বে না।’
বাংলা ইনসাইডার এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই মন্তব্য করেন। সাম্প্রতিক সময়ে হেলেনা জাহাঙ্গীর নিয়ে সৃষ্ট ঘটনাবলীতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুটি আবার সামনে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের এর এই সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করা হয়।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তার ছবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তখন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছি। তখন বহু লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। সে সময় দেখা করছে এ্যাজ সেক্রেটারি বিসিসি। আমার সঙ্গে তো কোন অন্তরঙ্গ ছবি না এটা। আমি তাকে চিনিও না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন অপকর্মই আমরা ছাড় দেই না’। আওয়ামী লীগ তো অ্যাকশন নিচ্ছে। অন্য দলের কথা যদি বলি, জাতীয় পার্টি বা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তারা কি দলের কারো বিরুদ্ধে একটা অ্যাকশন নিয়েছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক মেয়র এখন কারাগারে। আমাদের কক্সবাজারের বদি সেও ছাড় পায়নি। আওয়ামী লীগ কাউকে ছাড় দেয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির এরকম নির্দেশনা আছে যে, কোন কমিটিও যদি হয়ে যায়’, কমিটির কারো বিরুদ্ধে যদি কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে এই লোক অপরাধী, এই লোক বিতর্কিত, সঙ্গে সঙ্গে নেত্রী ট্রাইব্যুনাল করছে, তার মাধ্যমে তাকে বাদ দেয়া হবে। যে ট্রাইব্যুনালের চীফ হলো নেত্রী নিজে।’
তিনি বলেন ‘আওয়ামী লীগে অপরাধ করে ছাড় পাওয়ার কোন উপায় নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন ‘আমি হলাম আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। এখন যুব মহিলা লীগের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি পার্টি অফিসে এসে আমাকে বললো, ভাই একটা ছবি তোলেন, আমাদের নরসিংদীর প্রেসিডেন্ট পাপিয়া। আমি তো তাকে চিনি না। নরসিংদী যুব মহিলা লীগের প্রেসিডেন্ট ছবি তুলবে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির সঙ্গে। হাউ ক্যান আই ছে নো।’ আর সেখানে নাজমা আর অপু আমাকে বলছে। এ ধরনের হয়ে যায় অনেক সময়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।