প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, একদিকে ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেঙ্গু আর করোনা। আবার এইদিকে অর্থনীতির চাকাকেও তো সচল রাখা দরকার। মানুষের জীবিকাও চলছে না। আবার অনেকে বলে জীবনটা আগে বাঁচুক পরে জীবিকা। কিন্তু জীবনটা কি দিয়ে যাবে। তার জন্য তো জীবিকা লাগবে। ফুয়েল ছাড়া কি আর গাড়ি চলবে। জীবন-জীবিকা একটা সঙ্গে একটা ওতপ্রোতভাবে কিন্তু জড়িত। করোনায় যে গার্মেন্টস খুলে দিয়েছে, তাই আমার মনে হয় তাড়াতাড়ি জরুরী ভিত্তিতে সমস্ত গার্মেন্টস কর্মীদেরকে ভ্যাকসিন আগে দেয়া উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। ভ্যাকসিন দিয়ে ভালোভাবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস খুলতে হবে। কারণ, লকডাউন তো কতদিন থাকবে, মানুষ তো লকডাউন মানেও না। সুতরাং আমার মনে হয় যে প্রশাসন বোধহয় জরুরী ভিত্তিতে যত তাড়াতাড়ি পারে সকল গার্মেন্টস কর্মীদের ভ্যাকসিন এর আওতায় এনে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দেশ দেয়া উচিৎ। কারণ, এই ঢিলাঢালা, হাফ লকডাউন, আধা লকডাউন, ফুল লকডাউন এগুলো দিয়ে কোন লাভ হয়না।
মহামারি করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপে যখন সারাদেশ বিপর্যস্ত তখন খুলে দেয়া হলো গার্মেন্টস কলকারখানা। চলমান পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস খোলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করা হলো এটা সত্য তবে তার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটা কথা মনে রাখতে হবে যে যারা গার্মেন্টস কর্মী, নিম্ন আয়ের লোক না খেয়ে থাকে, দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য যতদিন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে ততদিন যেন তাদের নূন্যতম চাহিদা পূরণ করা হয়। নাহলে এই লকডাউনে কিছু হবে না, মানুষ ঠিকই রাস্তায় বেরিয়ে যাবে। যারা রিকশা নিয়ে বের হচ্ছে তারা তো পেটের দায়েই বের হচ্ছে, এমনি বের হয়নি। সুতরাং, তারা লকডাউন বাড়াতে পারে কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে যতদিন লকডাউন নিম্ন আয়ের লোকদের তাদের নূন্যতম চাহিদা চাল, ডাল থেকে যা যা, সব যেন পূরণ করা হয়। নাহলে এটি সফল হবে বলে মনে হয় না। কারণ, পেটের চাহিদা পূরণ না করে ডেঙ্গু মারতে গেলে তো মানুষই মেরে ফেলবে। তাহলে তো লাভ হবে না। এদিকে যেন তারা নজর রাখেন।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শত্রু তো আমরা চিনিই। এটা তো এডিস মশা। এটা মশা নিধনে ঘরে বাইরে পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রশাসন তো বাহিরে করবে কিন্তু আমার ঘর আমাকেই পরিষ্কার করতে হবে। মানুষের বাসায় তো সিটি কর্পোরেশন যাবে না। নিজের ঘরে যদি জমা পানি কোথাও থাকে বাথরুমে বালতির মধ্যে, গামলার মধ্যে, ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে, অনেকের বারান্দায় আবার ফুলের গাছ আছে সেখানে জমা পানি অথবা ছাদের উপর বাগান করে অনেকে বা বাসার চতুর্দিকে অর্থাৎ যেখানে পানি থাকে সেখানেই ডিম পাড়ে। এগুলো পরিষ্কার করা তো আমার নিজের দায়িত্ব। আমারটা আমাকেই পরিষ্কার করতে হবে। আর ঘরের বাহিরে প্রশাসন সমন্বয়ের মাধ্যমে উত্তর, দক্ষিণ, রাজউক, ভূমি মন্ত্রণালয় যারা আছে সবাই যদি মশা নিধন কার্যক্রমে উদ্যোগ নিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ তো কঠিন না।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা তো অদৃশ্য শক্তি। এর থেকে বাঁচার দুটি উপায়। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভ্যাকসিন নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানে মাস্ক পরিধান করা আর দূরত্ব বজায় রাখা। অনেকে মাস্ক পরে না। যারা মাস্ক পরে না, স্বাস্থ্যবিধি মানেনা তাদের যেন মাস্ক পরতে বাধ্য করা হয়। এজন্য প্রশাসনের নড়েচড়ে বসতে হবে। লকডাউন দিয়ে যদি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে তো লকডাউন কার্যকর হবে না। এর থেকে বাঁচার উপায় স্বাস্থ্যবিধি এবং টিকাদান। জনগণকে সচেতন হবে এবং নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করবে। তাহলে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।