নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, আমাদের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে, আবার ডেঙ্গু রোগীও প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় ডাক্তাররা হাসপাতালে হিমশিম খাচ্ছে এবং আসলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাও একটা শোচনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটে সরকার আরো ৫ দিন যে বৃদ্ধি করেছে আমি মনে করি সেটা আরো ভালো সিদ্ধান্ত সরকারের। পাশাপাশি এখন আমাদের কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য আসলে বড় চ্যালেঞ্জ হলো যে আমরা জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মানি না। এই জায়গাটায় বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার লকডাউন বৃদ্ধি করছে, স্বাস্থ্য সেক্টরের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি করেছে কিন্তু জনগণ আসলে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। আগামী ৭ তারিখ থেকে যে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে, আমি মনে করি সরকারের এটা শুভ উদ্যোগ। জনসাধারণ উচিত ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা।
বাংলাদেশে একদিকে করোনার উর্ধ্বমুখী সাথে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ, অন্যদিকে কঠোর লকডাউনেও খুলে দেওয়া হয়েছে গার্মেন্টস-কলকারখানা। এরই মধ্যে চলমান লকডাউনের মেয়াদ ৫ দিন বাড়িয়ে ভ্যাকসিন দেয়ার শর্তে ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। চলমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তের নানা দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ টিকা দিতে পারে এবং আমাদের ৪২ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী আছে। আমাদের যে সেটআপ আছে সেটা পুরো কাজ করবে। জনপ্রতিনিধিরা ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাই তারা সহযোগিতা করবেন এবং প্রচারণা করবেন, উদ্বুদ্ধ করবেন। রেজিস্ট্রেশন প্রসেসও শিথিল করা হয়েছে। এনআইডি নিয়ে গেলেই দেওয়া যাবে। বয়স্কদের বিশেষ বিবেচনায় এনআইডি ছাড়াও দেওয়া হবে। সুতরাং সেই বিবেচনায় আমি মনে করি সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভ্যাকসিন রোডম্যাপ সেটা আমার মনে হয় ১ কোটি টিকা এই সময়ের মধ্যে দেওয়া সম্ভব। সেই সক্ষমতা আমাদের আছে। আর সেই পরিমাণ ভ্যাকসিনও আমাদের স্টোরেজে আছে। ভ্যাকসিনের যে ধারাবাহিকতা চলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আজকেও উপহার হিসেবে ৬ লাখ ১৬ হাজার ভ্যাকসিন আসছে। সুতরাং আমি মনে করি যেহেতু ভ্যাকসিনের জট খুলে গিয়েছে, ভ্যাকসিন আসা শুরু হয়ে গিয়েছে সেই জায়গায় সেইভাবে সরকার আসলে উদ্যোগ তৈরি করেছে ভ্যাকসিন কর্মসূচি হিসেবে। আমার মনে হয় যে, এখন জনসাধারণের উচিত সবাই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, বাড়ির ঘরের আঙিনা পরিষ্কার রাখা এবং মশা নিধন করা। সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যে যে উদ্যোগ নিয়েছে সে উদ্যোগ গুলোতে সঠিকভাবে সবাই সহযোগিতা করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানে তাহলে আমরা আসলে এই ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রামেও সফল হবে, কোভিড এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফলতার দিকে এগোতে পারবো।
বিপুল পরিমাণ গার্মেন্টস-কলকারখানার শ্রমিকদের এই স্বল্পতম ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, আমি মনে করি যে গার্মেন্টসের শ্রমিক ছাড়া আছে, বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক যারা আছে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা উচিত, সরকারের সেরকম পদক্ষেপও আছে। বিগত সময়ে আমরা গাজীপুরেও দেখেছি গার্মেন্টস শ্রমিকদের এনআইডি নিয়েও টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। আমি মনে করি যে সরকার বিভিন্ন অফিস-আদালত নয় শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট সেগুলোতেও আমার মনে হয় যে সরকারের এক ধরনের নজরদারি রাখা উচিত যে জনগণ ভ্যাকসিন নিলো কিনা। অনেকে আছে ভ্যাকসিনে এখন অনীহা প্রকাশ করেন, টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে না। তাদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত এবং যারা নিচ্ছে না তাদের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে, সরকার বিভিন্নভাবে তাদেরও খবরদারিতে নিয়ে আসা উচিত, এক ধরণের জবাবদিহিতায় নিয়ে আসা উচিত যাতে সবাই ভ্যাকসিন নেয়।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, এই জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, যারা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করছে তাদেরই আসলে আইনের আওতায় আনতে হবে। একদিকে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি, ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম করা এবং যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।