আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এটা দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। এর লাগাম টেনে ধরা উচিৎ ছিলো বহু আগেই। এই লাগাম আমরা টানতে পারিনি এটা আমাদের দলীয় বা সাংগঠনিক দুর্বলতা। এদের কিছু কিছু সভায় আমাদের দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত থেকে এদেরকে আশকারা দিয়েছে এবং বৈধতা দিয়েছে। যার ফল এখন আমাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের উপস্থিতি, ভুঁইফোড় সংগঠন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। আমরা প্রতিবাদ করেছি কিন্তু আমাদের প্রতিবাদের ভাষা কারো কোন কর্ণপাত হয়নি। এখনি পরিপূর্ণ লাগাম যদি টেনে ধরা না হয় এবং শুধু প্রেস রিলিজ করে এই সংগঠনগুলো আমাদের নয়, এর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই, এই কথা বলে দিলে কাজ হবে না। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনের আওতায় এনে দেখতে হবে যে এরা কি ধরণের অপকর্ম এই সংগঠনগুলোর নামে করেছে। নতুবা আমাদের দলের ভাবমূর্তি, দলের মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলতে পারি যে, এই উপকমিটি গঠনের নিয়ে যদি আমাদেরকে বলা হত আমরা কিছু লোক ছিলাম যারা ফুল টাইম পলিটিক্স করি, আমাদেরকে যদি বলা হত তোমরা এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখ তাহলে কিন্তু আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পারতাম। কিন্তু আমাদেরকে আজ পর্যন্ত এগুলোকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি, যার কারণে আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু আজকে জবাব কিন্তু গণমাধ্যমসহ সর্বত্রই দিতে হচ্ছে আমাদের। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক।
যারা পৃষ্ঠপোষক দিচ্ছে তাদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, যারা এদের পৃষ্ঠপোষকতা দেন, যারা এদের সভা গুলোতে যেয়ে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছেন বিগত দিনগুলোতে -তাদেরকে জবাবদিহিতার জায়গায় নিয়ে আসা উচিৎ। সর্বোচ্চ জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিলে জবাবদিহিতার জায়গায় নিয়ে আসা সহজ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদের দলে পদ বাণিজ্য করে যারা পদ দখল করতেছে হাইব্রিড মতলববাজরা, যারা পদ দখল করে, পদ হাসিল করে বিভিন্ন মতলব হাসিল করছে এদের অবস্থা দেখে আমাদের খুব কষ্ট হয়। কারণ, আমরা তো অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, সময় দিয়েছি। তাই আমাদের কষ্ট হয় এই বঞ্চিত, নিগৃহীত নেতাকর্মীরা পদ পায় না কিন্তু অর্থের বিনিময়ে এরা পদ দখল করছে। তাদের আহাজারির মত আমদের হৃদয়ের ভেতরে আহাজারি রয়েছে, আমদের হৃদয়ের কান্না কেউ শোনে না, আমদের হৃদয়ের কান্না কেউ দেখে না কিন্তু আমরাও এই বঞ্চিত, নিগৃহীত, লাঞ্ছিত নেতাকর্মীদের আহাজারির সঙ্গে আমরাও একাত্ম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।