নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিএনপির সাবেক সাংসদ মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, ‘আন্দোলনে যেতে হবে। আন্দোলনের রাস্তা খুঁজতে হবে। নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হয়নি, অতীত অভিজ্ঞতা তো সেটাই বলছে। আগামীতে যে হবে, তার গ্যারান্টি কে দেবে?`
বিএনপির চলমান বৈঠক, নির্বাচনী অবস্থান সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
কিছুদিন আগেই বিএনপির বৈঠকে নির্বাচনের আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত কী নেয়া হয়েছে বা ভবিষ্যত কর্মসূচি কী, সে প্রশ্নের উত্তরে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, ‘আলোচনা এখনও চলছে। আলোচনার পর কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।’
আন্দোলনের কথা বারবার বললেও বিএনপি এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো আন্দোলনে তারা যেতে পারেনি। এমন মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই। গতবার দেশি, বিদেশি সবার কথা বিশ্বাস করেই বিএনপি নির্বাচনে গিয়েছিল। সেখানে দেখা গেলো সকল চোরের এক রা। সংবাদপত্র থেকে শুরু করে সবজায়গায় একই ব্যাপার। পত্রপত্রিকায় কিছুই লেখা হয়নি। আপনারা সাংবাদিকরা খুব খারাপ। আমি গালি দিলে আমার বিরুদ্ধে লিখবেন, কিন্তু কেউ আমাকে গালি দিলে তার বিরুদ্ধে কিছুই লিখবেন না। নির্বাচন হলো, কিন্তু সেটা তো হলো আগের দিন। এটা নিয়ে তো আপনারা কেউ কিছু লিখলেন না। ইনসাইডার বলেন বা আউটসাইডার বলেন, কেউ তো একটা শব্দও উচ্চারণ করলেন না। আগে জিনিসটা বোঝেন। এরপর নিউজ করেন।`
মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান আরও বলেন, `এখন আর এসব বলে লাভ নেই। আন্দোলন করতে হবে, আন্দোলনে যাব। বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে? কোন দুঃখে যাবে? কী কারণে যাবে?`
নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে, সে মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দিয়ে আমরা কী করি? নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন করে না। নির্বাচন কমিশনের সাথে তো আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না। সরকার বলুক যে সে নির্বাচন করতে পারবে না। সেটিও বিশ্বাস করতে পারি আমরা। সরকার আড়াই বছরের মাথায় নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, আমাদের ধরপাকড় শুরু করে দিয়েছে, এরপর তাদের অধীনেই আমরা নির্বাচনে যাবো কেন? আন্দোলন করতে পারি বা না পারি, সেটা অন্য ব্যাপার। না পারলে শুয়ে থাকব, ঘুমিয়ে থাকব, থাকুক। কিন্তু সামনে এখন আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নাই। এই নির্বাচনে যাওয়া মানেই সরকারের দালালি করা।`
ডা. জাফরুল্লাহর বিএনপি সম্পর্কিত বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘উনি তো বিএনপির কেউ না। উনি ওনার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বিএনপিকে নিতে চাচ্ছেন। বিএনপিকে যদি তিনি নির্বাচনে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে হয়ত সরকারের কাছে ওনার একটু আদর-আপ্যায়ন বাড়বে। অবস্থান ভালো হবে।`
তিনি বলেন, ` বিএনপির সামনে এখন কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের দ্বারে যাওয়া যাবে না। যদি নির্বাচনে যেতে হয়, তাহলে কতগুলো বিষয়ে আগে ঐক্যমতে আসতে হবে এবং সরকারকে সেখানে কতগুলো চুক্তি করতে হবে। সে চুক্তি যদি হয়, তাহলে চিন্তা করা যাবে। নইলে নির্বাচনে যাবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।`
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।