নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী ৫ অক্টোবর থেকে হল খোলার বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে হল খুলতে যা যা করা দরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী ঠিক সেভাবেই কাজ করছে। টিকাগ্রহণ করতে কারও যদি সময়ের প্রয়োজন হয়, তাহলে ৩০ তারিখের মধ্যেই টিকাগ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আগমন ও হল খুলে দেয়া প্রসঙ্গের নানা দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টা কীভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো সচেতন নাগরিক। এটি তারা স্পষ্টভাবেই মেনে চলবে বলে আশা করা যায়। আমরা সবাই আশা করি যে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে এই করোনা মহামারীর সময় আমরা কেউ স্বাস্থ্যবিধির বাইরে থাকব না। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করি।
হল খোলার পর যদি কোনো ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে করণীয় কী হবে, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকাগ্রহণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী যেমন নিজের সুরক্ষার ব্যাপারটি নিশ্চিত করবে, ঠিক একইভাবে হল খুলে দেবার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও তার পরিবার ও অন্যান্যদের মাঝে একটি এন্টিবডি বা সুরক্ষা তৈরি হবে। এখানে ছাত্রদের জোর করে টিকাদানের কোনো বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে না। এই বিষয়টি যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর, তেমনি শিক্ষকদের জন্যও প্রত্যাশিত নয়। স্বপ্রণোদিত হয়েই শিক্ষার্থীদের টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেধাবী এবং তারা নিজেদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই স্বপ্রণোদিত হয়ে টিকা গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে যদি তাদের কোনো অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো মাত্রই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টিকা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবে, এটিই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করে।
কোনো শিক্ষার্থী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে কী ব্যবস্থা আছে, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মেডিকেল আছে, ঢাকা মেডিকেল আছে। যখন যেখানে সুবিধা নেয়া জরুরী, আমরা সে সুবিধা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করব।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।