নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
গতকাল সম্পাদকমণ্ডলীর একটা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। দশটায় আমাদের মিটিং সময় দেয়া হয়েছিল। দশটার আগেই পার্টি অফিসের নিচে আওয়ামী প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার লাগানো নিয়ে একটি সমস্যা দেখা যায়। গত কয়েকদিনে আমরা সবকিছু নিয়েই এই বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছি, যেখানে দলের অবস্থান, নেত্রীর অবস্থান সবকিছু নিয়েই আমরা পরিষ্কার যে এখানে কোনো ভুঁইফোঁড় সংগঠন থাকবে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, আওয়ামী লীগের যে ভুঁইফোঁড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমন প্রজন্ম লীগ ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হপচ্ছে। এই ঘটনা সম্পর্কে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মির্জা আজম ভুঁইফোঁড় সংগঠন সম্পর্কে তার বক্তব্য, দলীয় ও সাংগঠনিক অবস্থান সম্পর্কে নানা দিক ব্যাখ্যা করেছেন।
ভুঁইফোঁড় সংগঠন মানে গঠনতন্ত্রের বাইরে কোনো সংগঠন থাকবে না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের বাইরে এমন কিছু সংগঠন রয়েছে, যেগুলো নেত্রী নিজে গঠন করেছেন। যেমন মোটর চালক লীগ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ইত্যাদি। এই সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগের দুঃসময় থেকেই তৈরি করা হয়েছিল। এরকম দুই একটি সংগঠন আছে, যেগুলো আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই। বাকি সবগুলোই ভুঁইফোঁড় সংগঠন। এদের কাজকর্ম সরকারের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপর আমরা ওপরে যাই। দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে বুঝতে পারি যে ভুঁইফোঁড়দের বিরুদ্ধে এতকিছু করবার পরও আজকের বিষয়টি তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে প্যান্ডেল টানিয়েছে। এদের প্যাড কিংবা অন্যসবকিছুর মধ্যে ঠিকানা হিসেবে লেখা ২৩ নম্বর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তারা জানে যে আজকের মিটিঙে ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সাংগঠনিক আরও নেতারা থাকবেন। তাদের সামনে মিটিং করে পার পেয়ে যাওয়া মানেই হচ্ছে ৩৭০টি ভুঁইফোঁড় যে তালিকাটি আমরা পেয়েছি, তাদের সবাইকে বৈধতা প্রদান করে দেয়া। তাই দেরি না করে এদেরকে এখনই ধরা উচিত। এরপর বিপ্লব বড়ুয়া এসে বললেন যে আমি খবর দিয়ে তাদেরকে চলে যেতে বলেছি। এভাবে চলে গেলে কিংবা সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেলে তো কোনো খবর হবে না। তখনও ওবায়দুল কাদের সাহেব পার্টি অফিসে এসে পৌঁছোননি। তার কাছে অনুমতি নেয়ার জন্য খবর পাঠানো হলো। তিনি অনুমতি দিলেন না। বললেন এদেরকে যত দ্রুত সম্ভব উঠিয়ে দিতে। পুলিশ তাদের কাছে যাওয়াই লাগেনি। এর আগেই তারা চলে যায়।
এমন ভুঁইফোঁড় সংগঠনের সভায় আগে দেখা যেতো আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতারাও যেতো। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কালকের মিটিঙে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা আগে একসময় এমন সভায় যেতো। এখন তারা আর যায় না। এখন যায় অনেক মন্ত্রীরা। তারা যায় কারণ এখানে অনেক মিডিয়া কভারেজের লোভ থাকে। এইজন্য তারা এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠনদের সভায় যায়। গতকাল মিটিঙে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে আর কোনো মন্ত্রী যেন এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কোনো সভায় না যায়।
ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত কিংবা সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংগঠনগুলোর সৃষ্টি হয় বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করার জন্য, বিভিন্ন অফিস-আদালতে গিয়ে সরকারের লোককে প্রভাবিত করার জন্য। টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার জন্য। শুধু তাই নয়, এদের তো আবার অনেক শাখা-প্রশাখা থাকে। যেমন সম্প্রতিই আমরা দেখতে পেলাম হেলেনা জাহাঙ্গীরের চাকরিজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর তারা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলো যে থানা এবং জেলা পর্যায়ে কমিটি দেয়া হচ্ছে। কমিটি নিতে যারা আসবে, তাদের কাছ থেকেও টাকা খেয়ে এরা কমিটি দেয়। যারা এমন কমিটি নিতে আসে, তাদের মাঝেও চাঁদাবাজি কিংবা টেন্ডারবাজির আকাঙ্খা থাকে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে পুরোটাই হচ্ছে প্রধান সংগঠনের নাম ভাঁড়ানোর জন্য তারা এমন করছে। সামনে আওয়ামী রাখে এবং পেছনে লীগ রাখে। এরপর এসব নাম ব্যবহার করে তারা সমাজের যত অপকর্মমূলক কর্ম আছে, এগুলোই করে বেড়াতো বেশি।
গতকাল এই ঘটনার পর এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলোকে একটা বার্তা দেয়া হয়েছে পরিষ্কারভাবে। এই বার্তা পেয়ে এমন ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলোর যথেচ্ছাচার কমবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে আগেও এমন পরিষ্কার বার্তা দেয়া হয়েছে কিন্তু গতকাল একটা কড়াভাবে উত্তর দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে যারা চলে, তারা হচ্ছে খারাপ প্রকৃতির লোক। এরা যদি ভালো হয়ে যেতো, তাহলে তো দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো প্রয়োজন পড়তো না। এরা থাকবে, কিন্তু যখনই এদের বিরুদ্ধে কোনো অপতৎপরতার খবর পাওয়া যাবে, তখনই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।