নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে যে প্রার্থীরা বসে যাওয়ার ব্যাপারটি একটি ভয়ঙ্কর প্রবণতা। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন থেকে তো আর মানুষ বসে যায় না। তাদের নানা অভিযোগ আছে। তাদের অভিযোগ হচ্ছে তাদের ওপর অনেক চাপ সৃষ্টি করা হয়, সরকারি দল থেকেও প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে চাপ দেয়া হয়, প্রশাসনের কথাও বলেছেন অনেকে। অভিযোগগুলো যদি গ্রহণ করা হয়, অনুসন্ধান করে কিছু কিছু জায়গায় স্বচ্ছতাও পাওয়া গিয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করাটা ইলেকশন কমিশনের দায়িত্ব। সরকারেরও একটা দায়িত্ব থাকে। যারা সরকারি দলে থাকে, তাদেরও একটি দায়িত্ব থাকে নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সে দিকটি নিশ্চিত করা। এটি যদি কোনো কারণে না আসে, তাহলে সকলের ওপরই এই দায়-দায়িত্ব বর্তায়। আমাদের দিক থেকে আমরা কোনো ছাড় দিইনি। তাকে সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি দলের ভাবমূর্তি যেমন বিনষ্ট করে, তেমনি শৃঙ্খলাও বিনষ্ট করে। যতদিন আমরা পারি, এভাবেই চালিয়ে যাবো। নির্বাচন করতে মানুষ যদি একবারেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, সেটার দায়দায়িত্বও যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের বহন করতে হবে।
নির্বাচনে প্রার্থীদের বসে যাওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনার কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি নানা দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জি এম কাদের।
প্রার্থীকে যদি চাপ দেয়া হতো, তাহলে তিনি তা জানাতে পারতো। সেটি করেছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা ব্যাপারটা অনেক জায়গাতেই জানিয়েছিল। প্রার্থীকে নাকি `ম্যানেজ` করা হয়েছিল নির্বাচন থেকে বসে যাওয়ার জন্য, এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, এমন কোনো সাক্ষী-প্রমাণ তো আমাদের হাতে নেই। তার অভিযোগ জানানোর ব্যাপারে যদি জানতে চান, তাহলে বলব অভিযোগ সে করেছে। ইলেকশনের দায়িত্বে যারা ছিল, মনিটরিং যারা করেছে, তারা সবাই এটি স্বীকার করেছে। প্রার্থীকে সবধরনের সুরক্ষাও দেয়া হয়েছে। গতকালও একটি নির্বাচন হয়েছিল। সে প্রার্থীকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত সে যদি অনিরাপদ বোধ করে, তাহলে তাকে ঢাকায় সুরক্ষামূলক অবস্থানে রাখা হবে। সেখান থেকেও তাকে কোনোভাবে চাপ প্রয়োগ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৮ এর পর মানুষের মাঝে ভোট নিয়ে একটি অনীহা তৈরি হয়েছে। এখন যদি ভোটই না হয়, তাহলে ভোট ব্যবস্থা কি সঙ্কটে পড়বে না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা এজন্য দায়ী, তাদেরকে প্রশ্ন করুন। আমরা তো ভোট দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। সুন্দরভাবে একটি নির্বাচন যাতে সংঘটিত হয়, তার জন্য তো আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রার্থীর ওপর হামলা করা হচ্ছে, অনেক জায়গায় হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যেন সুষ্ঠু একটা নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়। অন্তত জনমানুষের চোখে আসুক যে নির্বাচন বলতে দেশে কিছু একটা আছে। কিন্তু সেটাও তো আমরা করতে পারছি না। চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।
নির্বাচন কমিশনের তো মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মুখোমুখি অবস্থান। এটি নিয়ে জাতীয় পার্টির দলীয় অবস্থান কী, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে। নির্বাচন কমিশনার তৈরি করার জন্য একটি আইন তৈরি করতে হবে। আইনটা করার উদ্দেশ্য হলো যারা উপযুক্ত হবে, যারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরণের একটি আইন তৈরি করতে হবে এবং সে আইন অনুযায়ী ক্লজ এবং কন্ডিশন থাকতে হবে। এমন একটি আইন করতে হবে যাতে সবাই সুষ্ঠুভাবে তাদের কাজগুলো করতে পারে এবং তাদের যেন সে যোগ্যতা থাকে। সংবিধানে আছে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালে অনেকটা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মতো। নির্বাচনের সংযুক্ত আছে কিংবা কিছুটা হলেও সংযুক্ত, এমন বড় বড় সিদ্ধান্তগুলো তাদেরকে নিতে হবে। এর আগপর্যন্ত সরকার কিছু করতে পারবে না। নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব মন্ত্রণালয়গুলো আছে, সেগুলো সরকারের অধীনে থাকবে। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে থাকবে, এটি সংবিধানের বিধান। নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারে, এবং নির্বাচন কমিশনারকে যদি আইনের মাধ্যমে এই কাজগুলো করার জন্য উপযুক্ত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, তাহলেই নির্বাচনটি সুষ্ঠু হবে। এটা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট কিংবা অন্যকোনো পন্থায় হবে না।
জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করে না, এমন মন্তব্যের জবাবে জি এম কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও তো নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা যা বলছি, সেখানেও তো দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান অবস্থা সবসময় গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। আমাদের প্রধান সমস্যা হলো সংবিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী যদি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়, কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা দেয়া হয় এবং তারা যদি সঠিকভাবে পালন করতে পারে, তাহলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। মানুষের ভোটে যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, তাতে একজন রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে মানুষের আগ্রহ তৈরি করার জন্য তার পরামর্শ কী হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অর্থপূর্ণ একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। সংবিধান মেনে চলতে হবে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তবে এটিই শেষ কথা নয়। সংবিধান অনুযায়ী তাদেরকে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনারদের।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।